Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রথমবারের মতো সেন্ট মার্টিন পরিদর্শনে যাচ্ছেন বিজিবির ডিজি

বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে চৌকি পরিদর্শনে যাচ্ছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম। প্রথমবারের মতো এ চৌকি পরিদর্শনে যাচ্ছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে করে সেন্টমার্টিনে পৌঁছানোর কথা বিজিবির মহাপরিচালকের। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন টেকনাফ-২-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান। তিনি জানান, প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা ও বিজিবির বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখার জন্য আজ সেন্ট মার্টিনে আসবেন বিজিবির মহাপরিচালক। এ সময় দ্বীপে নিয়োজিত বিজিবির সদস্যদের প্রতি বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরবেন তিনি।

বিজিবি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিজিবির কার্যক্রম ছিল। এরপর দ্বীপে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। দীর্ঘ ২২ বছর বন্ধ থাকার পর গত ৭ এপ্রিল থেকে আবারও বিজিবি সেখানে নিয়মিত টহল শুরু করে। মূলত সীমান্তের সুরক্ষা ও চোরাচালান রোধে সরকার নতুন করে দ্বীপে বিজিবির একটি চৌকি স্থাপনার উদ্যোগ নেয়। এ চৌকি পরিদর্শনে আসছেন বিজিবি মহাপরিচালক।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ‘দ্বীপে বিজিবির মহাপরিচালক আসার খবর শুনেছি। দ্বীপে বিজিবি মোতায়েনের ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হয়েছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত হবে।’

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের অক্টোবরের দিকে সেন্ট মার্টিনকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে মিয়ানমার। মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যাবিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিনকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দেখানো হয়। গত বছরের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত উ লুইন ওকে তলব করে এর প্রতিবাদ জানায়। এরপর মিয়ানমার তাদের মানচিত্র পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়।