Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ফাইল ছবি

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে জাফরুল্লাহ লিখেছেন, আমলা ও গোয়েন্দাদের থেকে সাবধানে থাকবেন। রাজনৈতিক সহকর্মীদের কাছে ডেকে নিন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী লিখেছেন, ‘পুরোনো সহকর্মী এবং অন্য সকল রাজনীতিবিদকে নিয়ে আপনাকে (শেখ হাসিনা) অগ্রসর হতে হবে। তাদের নিশ্চিত করতে হবে সুশাসনের লক্ষ্যে আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ঠু–পরিচ্ছন্ন নির্বাচন। কোনো চালাকির নির্বাচন নয়, দিনের নির্বাচন রাতে নয়। হয়তোবা সফলতা আপনার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।’

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ চিঠি পাঠানো হয় বলে জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।

চিঠিতে জাফরুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়েছেন ঈদের দিন খালেদা জিয়ার বাসায় যাওয়ার জন্য।

আগামী মাসে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সুবিধা নিয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সুবিধাসহকারে করোনা সাধারণ ওয়ার্ড চালু করবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রীকে এটি উদ্বোধনের আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘এতে রোগীদের দৈনিক তিন হাজার টাকার মতো খরচ পড়বে। আপনি কি এই নিয়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সুবিধাসমেত জেনারেল ওয়ার্ডের উদ্বোধন করবেন?’

চিঠির শুরুতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘অতীতে আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এই খোলা চিঠি লিখছি। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কেউ না কেউ আমার এই চিঠি আপনার নজরে আনবেন এবং আমি একটি প্রাপ্তি স্বীকার পত্র পাব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এটাই একজন নাগরিকের আকাঙ্ক্ষা।’

হাসপাতালে রোগী ভর্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিয়মের সমালোচনা করে চিঠিতে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, করোনা আক্রান্ত হোক বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন ওই হাসপাতালে পরিচালক। করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবে কি না, তার সিদ্ধান্ত দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোগী নিজে বা চিকিৎসক নন। এই রকম সিদ্ধান্ত পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই।

বাংলাদেশে বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন নেই উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জানান, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের এবং গণস্বাস্থ্য ডায়ালাইসিস সেন্টারেরও নেই। তিনি অভিযোগ করেন, লাইসেন্স ফির নামে সরকারি চাঁদাবাজি হয়।