Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় সাতজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির সিরিয়াস ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) হাসানুজ্জামান আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল। আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

কাফরুল থানায় করা প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় সাতজনকে রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁদের প্রত্যেককে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। এরপর তাঁদের ডিবি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।

তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই হাসানুজ্জামান আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছেন, আসামিরা জনতা ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার, সরকারি বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় চুক্তিভিত্তিক টাকার বিনিময়ে চুক্তির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান আজাদ এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রধান ব্যক্তি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর কাফরুল এলাকার আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার ৩০৮ নম্বর কক্ষ থেকে রাসেল নামের এক পরীক্ষার্থীকে প্রথমে আটক করে র‍্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল স্বীকার করেন, তাঁর কাছে ইলেকট্রনিকস ডিভাইস রয়েছে। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ছয় আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান, নাহিদ, রুহুল আমিন, খালেকুর রহমান ও আহমেদ জুবায়ের সায়মন। তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, ১৪টি ছোট্ট ইলেকট্রনিকস ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।