Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রশ্ন ওঠায় শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ রিভিউ করতে পাঠাল সিন্ডিকেট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে তিনজনকে নিয়োগ দিতে সিলেকশন বোর্ডের করা সুপারিশ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সুপারিশটি রিভিউ করতে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। ওই সুপারিশ রিভিউ করে সিন্ডিকেটের পরের সভায় তা পর্যবেক্ষণসহ উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে৷

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়৷ দুজন সিন্ডিকেট সদস্য প্রথম আলোকে তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন৷ তাঁরা জানান, সিন্ডিকেট সভায় এ ছাড়াও গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা ও চলমান সান্ধ্য কোর্সের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদে (একাডেমিক কাউন্সিল) হওয়া দুটি সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে৷

সিন্ডিকেট সভা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষকের দুটি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় গত বছর৷ উচ্চতর ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল৷ গত ২০ ফেব্রুয়ারি এই নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা হয়৷ সেখানে অংশ নেওয়া ১৬ জনের মধ্যে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করে সিলেকশন বোর্ড৷

অভিযোগ উঠেছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম হওয়া একজন এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী পাঁচ প্রার্থীকে বাদ দিয়ে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ফলাফলে চতুর্থ ও দশম অবস্থানে থাকা দুজনকে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সিলেকশন বোর্ড৷

এ বিষয়ে সিলেকশন বোর্ডের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফলাফলে যাঁরা প্রথম দশে থাকেন, তাঁরা মেধা ও ফলাফলের দিক থেকে প্রায় সমপর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ফলাফল ছাড়াও সিলেকশন বোর্ডে তাঁর পারফরম্যান্স দেখা হয়৷ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হলেই যে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে, সে রকম কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই৷’ পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের বাদ দেওয়ার বিষয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘এই মুহূর্তে সবার কথা মনে নেই৷ তবে পিএইচডি ডিগ্রিধারী পাঁচজনের মধ্যে একজন ইতিমধ্যেই সহকারী অধ্যাপক হিসেবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত৷ তাঁকে প্রভাষক পদে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা দেখি না৷’

একজন সিন্ডিকেট সদস্য জানান, সিলেকশন বোর্ডের প্রধান সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরীন আহমাদের নেতৃত্বে থাকা কমিটিকেই শিক্ষক নিয়োগের ওই সুপারিশটি রিভিউ করতে বলা হয়েছে৷