Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রাথমিকে এখনো ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে

প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তিতে সন্তোষজনক অগ্রগতি হলেও এখনো পাঁচ বছর মেয়াদি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার আগেই প্রায় ২১ শতাংশ শিশু ঝরে পড়ে। আজ রোববার রাজধানীর নীলক্ষেত-পলাশী মোড়স্থ বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে ‘সবার জন্য শিক্ষা : জাতীয় পর্যালোচনা বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতি​বেদনের তথ্য তুলে ধরেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফাইজুল কবির। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৫ থেকে ২০১৩ সালে প্রাথমিকে ভর্তির হার ১০ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ সালের হিসেবে মোট ভর্তির হার ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০০৫ সালে এ হার ছিল ৮৭ দশমিক ২ শতাংশ। ঝরে পড়ার হার আগের চেয়ে কমলেও এখনো ২১ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে।

এ প্রতিবেদনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক সমতা অর্জনের চিত্রও তুলে ধরা হয়। লৈঙ্গিক সমতাকে বাংলাদেশের শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেসকো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

একই অনুষ্ঠানে সবার জন্য শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল মনিটরিং প্রতিবেদনের তথ্যও তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে ​সীমাবদ্ধতা আছে। তা স্বত্বেও শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। তবে গুণগত মান এখনো চ্যালেঞ্জ। এই মান বাড়াতে কাজ চলছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাউল আলম ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেসকোর সচিব মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।