Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের অভিযোগ গঠনের শুনানি ২৮ নভেম্বর

রিফাত শরীফ হত্যা

বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে ২৮ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। এ ছাড়া তিন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এই আদেশ দেন।

একই সঙ্গে তিন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। তাঁরা হলেন ২ নম্বর আসামি আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন, ৩ নম্বর আসামি মুহাইমিনুল ইসলাম সিফাত ও ৫ নম্বর আসামি মো. হাসান।

রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাসহ ২৪ জনকে আসামি করে গত ১ সেপ্টেম্বর এ মামলায় প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক পৃথক দুটি অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ। মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। আয়শা সিদ্দিকা জামিনে রয়েছেন। আর বাকি আসামিরা রয়েছেন কারাগারে। ৬ নভেম্বর রিফাত হত্যা মামলার অভিযোগপত্র নিম্ন আদালত থেকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক বলেন, রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া জামিনে থাকা আসামি আয়শা সিদ্দিকা আদালতে হাজির ছিলেন।

গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে। পরে হত্যাকাণ্ডের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে স্বামী রিফাতকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাকে। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় প্রধান সাক্ষী করা হয় আয়শাকে। কিন্তু আয়শার শ্বশুর মামলার ১৮ দিন পর দাবি করেন হত্যাকাণ্ডে আয়শা জড়িত। পরদিন একই দাবিতে বরগুনা শহরে মানববন্ধন করা হয়। সেখানে বরগুনা-১ আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সুনাম দেবনাথও অংশ নেন।

আয়শার বাবা মোজাম্মেল হোসেন তখন অভিযোগ করেছিলেন, সুনামই পুরো ঘটনায় প্রভাব বিস্তার করছেন।

মানববন্ধনের তিন দিন পর ১৬ জুলাই আয়শা সিদ্দিকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন পুলিশ তাঁকে আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করে। এ সময় আয়শার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। ১৭ জুলাই এই মামলার অন্যতম আসামি রিফাত ফরাজীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।