Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রিয়জনদের ছবি পাঠিয়ে '#ঈদভালোহোক' উদ্যোগে দারুণ সাড়া

ঈদের দিন বরিশালের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল হাসিবের পরিবারের সদস্যরা।

করোনাকালে প্রিয়জনদের সঙ্গে কেমন ঈদ কাটল তা জানতে প্রথম আলো '#ঈদভালোহোক' নামে বিশেষ উদ্যোগ নেয়। এতে প্রিয়জনের কাটানো ঈদের ছবি তুলে পাঠানোর সুযোগ পান পাঠকেরা। ঈদের দিনসহ তিনদিনের বিশেষ এ উদ্যেোগে দারুণ সাড়া দিয়েছেন পাঠকেরা।

ক্যাম্পেইনে সাড়া দিয়ে দেশ ও বিদেশ থেকে ৫০০ টিরও বেশি ছবি পাঠিয়েছেন পাঠকেরা। এর মধ্যে থেকে নির্বাচিত ১৫০ টির বেশি ছবি প্রকাশ করেছে প্রথম আলো অনলাইন। সাইটের '#ঈদভালোহোক' ট্যাগে ছবিগুলো দেখা যাবে।

এবারের ঈদ ছিল একটু ভিন্নরকম। অনেকে ঈদের নামাজ পড়েছেন বাড়িতেই। করোনাকালের এই লকডাউন পরিস্থিতিতে কারও ঈদ কেটেছে ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে কারও বা বাসার ছাদে। তবুও প্রিয়জনদের কাছে নিয়ে যে যতটুকু পেরেছেন ঈদের আনন্দ করেছেন। পাঠকেরা সেই চিত্র ধারণ করে পাঠিয়েছেন।

নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটি মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের পর ছবি তুলে পাঠিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাবিবুর রহমান।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে খান পরিবারের সবাই একসঙ্গে ঈদ পালনের এই ছবি পাঠিয়েছেন হামিদ খান।

বাসার ছাদে বেড়িয়েই শিশুদের ঈদ উদযাপন করতে হয়েছে। গত ১০ মার্চ থেকে তারা ঘরবন্দী। এ রকম ছবি পাঠিয়েছেন ঢাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হামিদুর রহমান।

টানা লকডাউনের মধ্যে অন্য রকম এক ঈদ পালন করলো মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীরা। দেশটির সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী শর্তস্বাপেক্ষে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ বাসায় নামাজ আদায় করেছে। মালয়েশিয়া থেকে ছবি পাঠিয়েছেন মোস্তফা ইমরান।

ইতালির মিলানোতে ঈদের জামাতের পর মহিউদ্দিন বাবর হক ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের এসেছে। মহিউদ্দিন বাবর হক জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ইতালিতে শর্তসাপেক্ষে ঈদের জামাতের অনুমতি দেওয়া শুরু করে। প্রধান শর্ত হচ্ছে সব মুসল্লির মাস্ক ও গ্লাভস থাকতে হবে। এ ছাড়া একজন থেকে আরেক জনের দূরত্ব এক মিটার হতে হবে।

ঈদে আয়োজনে এ স্বর্তস্ফূর্ত সাড়া দেওয়ার পাঠকদের ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ।