Thank you for trying Sticky AMP!!

ফরহাদের স্ত্রীর স্বর্ণপ্রীতি

ফরহাদ হোসেন

মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনের বর্তমান সাংসদ ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী মোনালিসার স্বর্ণপ্রীতি ব্যাপক। একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সাংসদ ফরহাদের দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, বর্তমানে তাঁর নিজের নামে ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার রয়েছে। আর তাঁর স্ত্রীর নামে আছে ১৫০ ভরি স্বর্ণালংকার। এসব স্বর্ণ তাঁরা বিয়ে, উপহার ও উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। এর বাইরে সাংসদের ওপর নির্ভরশীলদের রয়েছে ৫০ ভরি স্বর্ণ।
২০১৪ সাল থেকে সাংসদের কোনো স্বর্ণালংকার না বাড়লেও তাঁর স্ত্রীর বেড়েছে ১১০ ভরি। ওই সময় মোনালিসার স্বর্ণালংকারের পরিমাণ ছিল ৪০ ভরি।
সাংসদ ফরহাদ এবার তাঁর বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছেন ১০ লাখ ৭৫ হাজার ৩৫৩ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতে ৪ লাখ টাকা, শেয়ার সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত ১৫ হাজার ৩৫৩ টাকা, অন্যান্য খাতে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি এই আয় দেখিয়েছিলেন শুধু চাকরি থেকে ৬ লাখ ১২ হাজার ৩৪০ টাকা। সে হিসাবে গত পাঁচ বছরে তাঁর আয় বেড়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ১৩ টাকা।
এবার সাংসদ ফরহাদ অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে নগদ দেখিয়েছেন ৬ লাখ টাকা ও স্ত্রীর নামে ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া তাঁর ৭৩ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ ও ৭ লাখ টাকার একটি মাইক্রোবাস রয়েছে।
হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাংসদ ফরহাদের নামে এসি, ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার। আর তাঁর স্ত্রীর নামে গৃহস্থালি সামগ্রী আছে আড়াই লাখ টাকার, যা তিনি বিয়েতে উপহার হিসেবে পেয়েছেন। মোনালিসার নামে ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে সাংসদের উত্তরাধিকার সূত্রে রয়েছে ৫১ শতক অকৃষিজমি ও স্ত্রীর নামে ৫ কাঠা জমি। এ ছাড়া নিজের নামে মেহেরপুর পৌর শহরে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া একটি বাড়ি রয়েছে, যেটি তিনি পাকা করেছেন। তবে এটির মূল্য হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি।
দশম সংসদ নির্বাচনে সাংসদ ফরহাদ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন নগদ ৯ লাখ টাকা ও তাঁর স্ত্রীর ৫ লাখ টাকা। সাংসদের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকার পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৭৬ হাজার ২৩৮ টাকা। গত পাঁচ বছরে সাংসদের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৭৫ টাকার, যা আগের নির্বাচনে ছিল ৪৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭৮ টাকার।