Thank you for trying Sticky AMP!!

ফারুক হত্যা মামলায় আরও একজন কারাগারে

ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের আদালতে হাজিরা দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়েন এই মামলার আসামি সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা। টাঙ্গাইল, ৩১ অক্টোবর। ছবি: কামনাশীষ শেখর

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আরও এক পলাতক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে উপস্থিত না হওয়ায় এই মামলার সাক্ষী দুই বিচারিক হাকিমের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

কারাগারে পাঠানো এই আসামির নাম বাবু খান (৪৫)। আত্মসমর্পণের পর আজ বৃহস্পতিবার আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। ওই হত্যাকাণ্ডের সময় বাবু খান সাবেক সাংসদ আমানুরের মালিকানাধীন গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে দারোয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

টাঙ্গাইলের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এস আকবর খান বলেন, আজ মামলার ধার্য তারিখে অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক আসামি বাবু খান প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে বিচারক রাশেদ কবির তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে ফারুক আহমেদ হত্যার আসামিদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধকারী দুই বিচারিক হাকিম টাঙ্গাইলের সাবেক অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শাহাদত হোসেন ও জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শেখ নাজমুন নাহারের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

এদিকে ফারুক আহমেদ হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আদালত এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আদালত থেকে যাওয়ার পথে এই মামলার আসামি সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানার গাড়ি তাঁদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা আমানুরের গাড়ি ঘিরে তাঁর বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান ও তাঁর ভাইদের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় সাবেক সাংসদ আমানুর ছাড়াও তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খানসহ ১৪ জন আসামি রয়েছেন।