Thank you for trying Sticky AMP!!

ফার্মগেট পদচারী সেতুতে আবর্জনা

ফার্মগেটের পদচারী-সেতুতে পড়ে থাকা আবর্জনা l প্রথম

ফার্মগেট এলাকার পদচারী-সেতু নোংরা-আবর্জনা ও ধুলায় ভরে গেছে। পথচারীদের অভিযোগ, এই সেতুর আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলে তাঁদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ফার্মগেটের এই পদচারী-সেতুর পশ্চিম দিক থেকে ওঠার সিঁড়িতে ময়লার স্তূপ। সেতুর এখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা। সেতুজুড়ে ধুলার স্তর। সিগারেটের ফিল্টার, প্যাকেট, বিভিন্ন প্রচারপত্র, চিপসের খালি প্যাকেট, ফলের খোসা, আখের ছোবড়া, পরিত্যক্ত পলিথিন ছড়িয়ে আছে।

সেতু দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী মো. মিজানুর রহমান। তিনি জানান, নোংরা ও আবর্জনা মাড়িয়ে তাঁকে প্রতিদিন সেতু ওঠানামা করতে হয়। তিনি বলেন, ময়লা দেখতেই খারাপ লাগে। সকাল সকাল মেজাজ খিঁচড়ে যায়। সেতু যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হতো, তাহলে এমন আবর্জনা জমত না। আরেক পথচারী রাজাবাজারের বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, তাঁর মেয়ে হলিক্রস স্কুলের শিক্ষার্থী। প্রতিদিন তাঁকে এই সেতু পার হয়ে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। যাওয়ার পথে এমন আবর্জনা দেখেন তিনি। তবে আবর্জনা এড়িয়ে চললেও ধুলার কারণে তাঁকে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

পথচারী আরিফ রহমানের ভাষ্য, এখানে ময়লা জমার একটি বড় কারণ হচ্ছে এখানে নিয়মিত শত শত লোক ধূমপান করে সিগারেটের ফিল্টার ও সিগারেটের প্যাকেট ফেলে যায়। এ ছাড়া হকাররা নানা পণ্য বিক্রি করে তার প্যাকেট ও প্রচারপত্র ফেলেন।

আরও কয়েকজন পথচারী জানান, এই সেতু নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। তাই ময়লার স্তূপ জমে গেছে। এটি নিয়মিত পরিষ্কার করে তদারকির ব্যবস্থা করলে এখানে আর ময়লা জমবে না। এ ছাড়া নিয়মিত পানি ছিটানো হলে আর ধুলো জমবে না। এ ছাড়া সেতুর পরিবেশ ঠিক রাখতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ করতে হবে। এখানে গাছ লাগিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করলে সেতুর ওপর ভালো পরিবেশের সৃষ্টি হবে।

সেতুর দায়িত্বে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (টিইসি) আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিয়মিত সেতুগুলো পরিষ্কার করি। এমন ৫৭টি পদচারী-সেতু আমাদের দেখতে হয়। কিন্তু সেই অনুপাতে লোকবল কম থাকায় কাজে কিছুটা দেরি হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক্ষুনি সেতু পরিষ্কার করার নির্দেশ দিচ্ছি।’