Thank you for trying Sticky AMP!!

বইমেলায় লেখক-ব্লগারদের জন্য নিরাপত্তা থাকছে

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় জঙ্গিদের সংঘবদ্ধ আক্রমণের আশঙ্কা নেই। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দু-একজন অপতৎপরতা চালাতে পারে। পুলিশের উদ্যমী কর্মকর্তা–সদস্যরা সতর্ক আছেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কোনো হুমকি নেই। লেখক, ব্লগারদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। তারপরও যদি কেউ পুলিশকে জানান, তাহলে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বইমেলা উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া এসব কথা বলেন। তিনি মেলার সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। ডিএমপির কন্ট্রোল রুমেও যান।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। (https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1576928)। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজরদারি করা হচ্ছে। বইমেলাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই।

পরে ডিএমপির কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে প্রতিবছরই অমর একুশে গ্রন্থমেলার আয়োজন করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে চলবে এই বইমেলা। বইমেলার ভেতরে ও বাইরে পর্যাপ্তসংখ্যক সাদাপোশাকে ও ইউনিফর্মে পুলিশ ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। স্ট্যান্ডবাই থাকবে সোয়াট, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড। শাহবাগ, বকশীবাজার, নীলক্ষেত ও দোয়েল চত্বর ঘিরে থাকবে পুলিশের বহির্বেষ্টনী নিরাপত্তাবলয়। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকবে আন্তবেষ্টনী নিরাপত্তাব্যবস্থা। উভয় বইমেলা চত্বর এবং তার আশপাশ সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণের কন্ট্রোল রুম থেকে মেলার ভেতরে ও চারপাশে সার্বক্ষণিক সিসিটিভি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। ইভ টিজিং, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, ছিনতাই ও পকেটমার প্রতিরোধে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।’

ডিএমপির কমিশনার বলেন, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা প্রদানে বইমেলাকে ঘিরে রয়েছে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার। নিবিড় তদারকির মধ্য দিয়ে লেখক, প্রকাশক, পাঠক ও বইপ্রেমী দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য থাকবে ফায়ার টেন্ডার ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে প্রতিটি বইয়ের স্টলে অগ্নিনির্বাপণযন্ত্র রাখতে হবে। দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি চত্বর পর্যন্ত কোনো গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে না। শুধু বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রদত্ত স্টিকারযুক্ত গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে। এই এলাকায় কোনো ধরনের হকার বা ভ্রাম্যমাণ দোকান প্রবেশ করতে পারবে না।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক চেতনায় আঘাত করে এমন কোনো বই প্রকাশকেরা বইমেলায় আনতে পারবেন না। যেকোনো নতুন বই মেলায় এলে বাংলা একাডেমি তা যাচাই–বাছাই করে দেখবেন। যাতে করে কোনো বই ধর্মীয়, সামাজিক ও জাতীয় মূল্যবোধে আঘাত না করতে পারে।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমরানুল হাসান মেলার নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখতে আসেন। মেলার সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও রয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। অপতৎপরতা রুখে দেওয়ার জন্য তাঁরা সজাগ রয়েছেন।

আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এবারের মেলার নিরাপত্তায় র‌্যাব ও পুলিশের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী কাজ করবে।