Thank you for trying Sticky AMP!!

বইয়ের অভিনব 'ব্যাক কভার'

বইয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাঠকের কাছে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টায় এমন প্রচ্ছদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

‘ডোন্ট জাজ আ বুক বাই ইটস কভার’ বলা হলেও লেখক ও পাঠকেরা খুব আগ্রহ নিয়েই বইয়ের প্রচ্ছদের অপেক্ষায় থাকেন।

প্রচারের জন্য বইয়ের প্রচ্ছদের কোনো বিকল্প নেই। বইয়ের আগেই বইয়ের প্রচ্ছদ চলে যায় পাঠক ও দর্শকের কাছে। এমনকি যিনি বই পড়েন না কিংবা কেনেনও না, তিনিও আগ্রহ নিয়েই উল্টেপাল্টে দেখেন বইয়ের প্রচ্ছদ। ফলে বইয়ের প্রচ্ছদ হয়ে ওঠে সবার আগ্রহের জায়গা। সেই প্রচ্ছদই যদি ব্যবহার করা হয় জনগুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে, তাহলে কেমন হয় ব্যাপারটা।

বইয়ের সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য পাঠকের কাছে পৌঁছে যাবে সেই সচেতনতার বার্তাও। ঠিক এই কাজই করেছেন জনপ্রিয় লেখক সাদাত হোসাইন। এবারের বইমেলায় আসছে তাঁর চারটি বই। অন্যধারা থেকে ‘অর্ধবৃত্ত’ ও ‘তোমাকে দেখার অসুখ’। অন্যপ্রকাশ থেকে ‘মেঘেদের দিন’ ও ‘মরণোত্তম’। এই চারটি বইয়ের পেছনের কভারজুড়েই দেখা গেছে দারুণ এক দৃশ্য! পরিবেশসচেতনতা বিষয়ে কৌতূহলোদ্দীপক ছবি ও বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রতিটি বইয়ের পেছনের কভারে। ছবিগুলোয় পরিবেশ রক্ষায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, অপরিকল্পিত বন ধ্বংস, পানির অপচয় রোদসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নানা বিষয় উঠে এসেছে।

বইয়ের প্রচ্ছদ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যই এমন প্রচ্ছদ। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

সাদাত হোসাইন বলেন, ‘এই সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় বিপদের নাম পরিবেশ বিপর্যয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যে কী ভয়াবহ, তা চোখের সামনে দেখতে পেয়েও বিষয়টিকে যেন আমরা উপেক্ষা করছি। এ বইয়ের পেছনের কভারজুড়ে ‘সেভ ট্রি সেভ প্ল্যানেট’, ‘সেভ ওয়াটার সেভ লাইফ’—এমন বার্তা দিয়ে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত পরিবেশ সচেতনতামূলক ছবিগুলোয় সাদাত হোসাইনের তথ্যসমৃদ্ধ বার্তা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে আমেরিকান আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের সেই বিখ্যাত উক্তি, ‘যেদিন পৃথিবীর শেষ গাছটি কেটে ফেলা হবে, শেষ মাছটি ধরে ফেলা হবে, শেষ নদীটির জলও বিষাক্ত করে ফেলা হবে, শুধু সেদিনই মানুষ বুঝবে, টাকা খেয়ে বাঁচা যায় না।’ বিজ্ঞপ্তি