Thank you for trying Sticky AMP!!

বগুড়ায় ঝড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫

বগুড়ায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় ঝড়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে পাঁচে দাঁড়িয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের সবাই দেয়াল ধসে এবং গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া আধা ঘণ্টার ওই ঝড়ে বগুড়া শহর এবং বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন, সোনাতলা উপজেলার লোহাগাড়া গ্রামের ফিরোজা বেগম, বগুড়া শহরের বউবাজার এলাকার আজিবুন নেছা ও নীলা, শাজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্র ফুলকোট গ্রামের পান্না মিয়া এবং গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা গ্রামের আসমা বেগম। প্রথম তিনজন দেয়াল চাপা পড়ে এবং পরের দুজন গাছের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছেন।

আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঝড় শুরু হয়। এ সময় শহরের বউবাজার এলাকায় পৃথক দুটি ঘটনায় দেয়াল ধসে আজিবুন নেছা নামে এক গৃহবধূ এবং নীলা নামে ছয় মাসের এক শিশু মারা গেছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুজ্জামান ও আবদুল ওয়ারিশ যথাক্রমে এ দুটি ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া শাজাহানপুর উপজেলার ক্ষুদ্র ফুলকোট গ্রামে গাছের নিচে চাপা পড়ে পান্না মিয়া নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন।

উপজেলার আমরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সোনাতলা উপজেলার লোহাগাড়া গ্রামের ফিরোজা বেগম দেয়াল ধসে মারা গেছেন। অন্যদিকে গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা গ্রামের আসমা বেগম মারা গেছেন গাছের নিচে চাপা পড়ে।

গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজউদ্দিন আহমেদ এবং সোনাতলা থানার ওসি সেলিম হোসেন এ দুই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে এ ঝড়ের ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাকা দালান ধসে গেছে, গাছপালা ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া ভাসমান দোকানপাটসহ বস্তি এলাকার অস্থায়ী ঘরবাড়ি উড়ে গেছে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড ডিফেন্স স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মী শহীদুল ইসলাম বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক দল বিভিন্ন এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।