Thank you for trying Sticky AMP!!

বঙ্গবন্ধুর ছয় খুনির পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ

>
  • নূর চৌধুরী কানাডায়, রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে
  • মোসলেম উদ্দিন জার্মানিতে, ডালিম স্পেনে
  • রশিদ ও মাজেদের অবস্থান অজানা
  • ছয়জনকে ফেরানোর তৎপরতা জোরদার

শোকের মাস আগস্টকে সামনে রেখে এবার বিদেশে পলাতক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ও ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয়জনের পাসপোর্ট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ২৮ জুন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে থাকা এসব ব্যক্তির অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকেও নির্দেশ দেওয়া হয় গত মাসে।

এর আগে ছয় দণ্ডিত ও তাঁদের স্বজনদের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উদ্যোগ নেয় সরকার। ইতিমধ্যে খন্দকার আবদুর রশিদের মালিকানাধীন ১৬ দশমিক ৯৪২৫ একর এবং রাশেদ চৌধুরীর ১ দশমিক ১৫ একর ভূমি বাজেয়াপ্ত করে খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই ছয়জনকে ফেরানোর তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। কানাডায় অবস্থানরত নূর চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনতে আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্কাডেন এলএলপিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নূর চৌধুরীর রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন কানাডার উচ্চ আদালত খারিজ করে দেন। তবে তাঁকে ফেরত পাঠানোর আগে ঝুঁকি মূল্যায়নের কাজ এখনো চলছে। আর রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে।

সূত্র জানায়, রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত আনতে ২০১৫ সালে মার্কিন আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্কাডেন এলএলপিকে নিযুক্ত করে বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি জানিয়েছে, তাঁকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

মোসলেম উদ্দিনের জার্মানিতে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে ফেরানোর বিষয়ে সম্প্রতি সে দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী অন্যতম খুনি শরিফুল হক ডালিম এখন স্পেনে। তাঁকে ফিরিয়ে আনতে স্পেনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে বাংলাদেশ। তবে মাদ্রিদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হাসান মাহমুদ খন্দকার কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানান। স্পেনে মৃত্যুদণ্ড রহিত আছে। পলাতক বাকি দুই খুনি খন্দকার আবদুর রশিদ ও আবদুল মাজেদ কোথায় আছেন, তা বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবে জানে না।

তবে ইসলামাবাদের একটি সূত্র জানায়, আবদুর রশিদ পাকিস্তানে। এ ব্যাপারে গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ওই চিঠির কোনো জবাব দেয়নি পাকিস্তান।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারভাবে শুরু হয়েছে। আশা করি ভালো অগ্রগতি হবে।’