Thank you for trying Sticky AMP!!

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল-ভাস্কর্যের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশ

দুর্বৃত্তদের ভেঙে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে

সারা দেশে নির্মিত ও নির্মাণাধীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল-ভাস্কর্যগুলোর নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সশস্ত্র পুলিশ টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষে আদালতে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

প্রতিবেদনের ভাষ্য, নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মিত ও নির্মাণাধীন ম্যুরাল-ভাস্কর্যের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় সশস্ত্র পুলিশের সার্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সাদাপোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ কর্তৃক সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভির মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিস্থিতি তদারকি করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে এসেছে।

৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা ও একাত্তরে যে মঞ্চে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই মঞ্চে তাঁর ভাস্কর্য নির্মাণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে চার বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বশির আহমেদ হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। এর ধারাবাহিকতায় সম্পূরক একটি আবেদন করেন রিটকারী।

সম্পূরক ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। মুজিব বর্ষের মধ্যেই দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট দেশের যেকোনো স্থানে নির্মিত ও নির্মাণাধীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল-ভাস্কর্যগুলোর নিরাপত্তায় অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে এক মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তখন কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা চলছিল।

সর্বশেষ আদেশ অনুসারে আজ রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী বশির আহমেদ।

পরে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য-ম্যুরালের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত বিভাগের তালিকা দাখিল করা হয়েছে। সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর সর্বমোট ১ হাজার ২২০টি ম্যুরাল/ ভাস্কর্যের মধ্যে ১৯টি নির্মাণাধীন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ম্যুরাল-ভাস্কর্যগুলো বিষয়ে ২১ জানুয়ারি অগ্রগতি জানাতে বলেছেন আদালত।