Thank you for trying Sticky AMP!!

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে মোশতাক ও জিয়াও ছিলেন

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা l ছবি: বাসস

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমানও জড়িত ছিলেন বলে আবারও অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই, কিন্তু এখনো এমন লোক আছেন, যাঁরা দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চান। এই লোকদের ব্যাপারে দেশের জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।’

বাসস জানায়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্য, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত খুনি মোশতাক। আর মোশতাকের দোসর ছিলেন জিয়াউর রহমান। কারণ, মোশতাক অবৈধভাবে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন ও জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করেন। তিনি তাঁর কতটা ঘনিষ্ঠ ছিলেন যে সেনাপ্রধান হিসেবে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে মোশতাক নিয়োগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি শুধু একটা হত্যাকাণ্ড নয়, দেশকে পুনরায় পাকিস্তানি ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগেরও অংশ। যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, এই মাটিতে জন্ম নিয়েও হানাদারদের ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, পঁচাত্তরের পর তারাই ক্ষমতায় এসেছিল। তিনি বলেন, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে খুনিদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

শেখ হাসিনা বলেন, যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন, অনেকের সাজা হয়েছিল, অনেকে পাকিস্তানের পাসপোর্টে পাকিস্তানে বা বিদেশে ছিল, তাদের বিচার বন্ধ করে জিয়া অবৈধভাবে ক্ষমতা নিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। তিনি একাধারে সেনাপ্রধান ও চিফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হলেন। তখন তাদের (যুদ্ধাপরাধীদের) মুক্তি দিয়ে ক্ষমতায় বসালেন।

আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও মোহাম্মদ নাসিম। আরও বক্তৃতা দেন অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।