Thank you for trying Sticky AMP!!

বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তা থেকে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। তবে সে ঝড় তৈরি হলে এটি কোথায় আঘাত হানতে পারে, এ ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আজ বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটাই বলা হয়েছে।

দেশে বৈরী আবহাওয়ার সময় বলে পরিচিত মার্চ–এপ্রিল মাস। এ সময় কালবৈশাখী ঝাপটা মারে। উত্তপ্ত হয়ে থাকে সাগর। সৃষ্টি হয় ঘূর্ণিঝড়। আঘাত হানে উপকূলে।

এবার কালবৈশাখীর ছোবল কিছুটা দেখা গেলেও সাগর থেকে ছুটে আসেনি কোনো ঘূর্ণিঝড়। তবে এর একটি বার্তা আবহাওয়া দপ্তর দিয়েছে। আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান আজ প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি আগামীকাল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে উপকূলীয় কোন অঞ্চলে আঘাত করতে, এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এটি বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর–পশ্চিম দিকে এগিয়ে যেতে পারে। এরপর দিক পরিবর্তন করার সম্ভাবনা আছে। তখনই হয়ত বলা যাবে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় উপকূলের কোন দিকে যাচ্ছে। অবশ্য সাগরের যে স্থানে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেখান থেকে এটি যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। এর সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। সাগরও উত্তাল হতে পারে।

এ ব্যাপারে সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণ–পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত।

গতকাল কালবৈশাখীর সঙ্গে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে, ৬৩ মিলিমিটার। রাজধানী ঢাকায় এ সময় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১৯ মিলিমিটার। আজও দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে।