Thank you for trying Sticky AMP!!

বদলে যাওয়া ঢাকার প্রতিচ্ছবি মেট্রোরেল

বক্তব্য দিচ্ছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি

ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, ঢাকা যে বদলে যাচ্ছে তার প্রতিচ্ছবি হচ্ছে মেট্রোরেল। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মেট্রোরেলের উত্তরা–আগারগাঁও অংশ পরিদর্শনের সময় গণমাধ্যমের কাছে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইতো নাওকি এদিন সকালে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং জাতীয় দলের অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, সাবেক স্পিনার আবদুর রাজ্জাক এবং জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ এবং গণমাধ্যমের কয়েকজন প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে মেট্রোরেল নির্মাণকাজ দেখতে যান। এ সময় গণমাধ্যমকর্মী ও ক্রিকেটারদের প্রকল্প এলাকা ঘুরিয়ে দেখানো হয় এবং পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চালানো হয়।

মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পে মোট ২৪ সেট ট্রেন (৬টি কোচে এক সেট ট্রেন) থাকবে। এখন পর্যন্ত সাত সেট ট্রেন ট্রায়ালে আছে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ৯ সেট ট্রেন দেশে পৌঁছাবে। এই মুহূর্তে যে সাতটি ট্রেন এসে পৌঁছেছে, সেগুলো ট্রায়ালে আছে। আগামী বছরের জুনের মধ্যে সব ট্রেন দেশে চলে আসবে। প্রকল্পের কাজ যেভাবে এগোচ্ছে, বাইরের কোনো চ্যালেঞ্জ না থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বরে দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ১০ থেকে ১২টি ট্রেন চালু করা যাবে।

বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে এ দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত থাকাটা তাঁর দেশের জন্য গর্বের বলে মন্তব্য করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারের ফেসবুকে মেট্রোরেল নিয়ে পোস্ট দিয়ে রোমাঞ্চিত হয়েছি। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অসংখ্য ভক্ত ও সমর্থক রয়েছে। এখন দেখছি, তাঁরা মেট্রোরেলের ভক্ত হয়ে গেছেন।’

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, মেট্রোরেল জাপানের বিগ–বি উদ্যোগের অংশ এবং এটি বাংলাদেশের ফাস্ট৴ট্র্যাক প্রকল্পের অন্যতম। করোনাভাইরাসের সংক্রমণসহ নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ধীরে ধীরে এসব চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবিলা করেছি। প্রকল্পের কাজও ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে।’

জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (জাইকা) প্রধান প্রতিনিধি হাইয়াকাওয়া ইউহো বলেন, মেট্রোরেল মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মেট্রোরেল নির্মাণের মধ্য দিয়ে অনেক মাইলফলক রচিত হবে। দুই দেশে যুক্ত হবে মেট্রোরেলের নতুন সংস্কৃতি।

হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, প্রকল্পের কাজ দেখতে পাওয়াটা বেশ আনন্দের। মেট্রোরেল চালু হলে রাজধানীর লোকজনের সময়ের সাশ্রয় হবে। লোকজনের চলাচল হয়ে উঠবে স্বাচ্ছন্দ্যময়।