Thank you for trying Sticky AMP!!

বরিশালে ২৮১ প্রবাসী নতুন করে হোম কোয়ারেন্টিনে

বরিশাল বিভাগে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসী ব্যক্তির সংখ্যা গতকাল শনিবার আরও বেড়েছে। সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল বিভাগে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ২৮১ প্রবাসীকে। গত শুক্রবার কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৩৬২ জনকে।

গতকাল দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য জানান। বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত শুক্রবার নতুন করে একজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এই হাসপাতালে থাকা আরেক ব্যক্তিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বরগুনায় আইসোলেশনে আছেন একজন। বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত কারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নেই।

স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানায়, চলতি মার্চ মাসে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ১০ হাজারের বেশি লোক বিদেশ থেকে ফিরেছেন। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৫৭ জন প্রবাসীর হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা গেলেও অধিকাংশকেই আলাদা জীবনযাপনের আওতায় আনা যায়নি। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ হচ্ছেন ইতালি, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী। অল্পসংখ্যক আছেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশের। তারা কোথায়, কী অবস্থায় আছেন, তা এখনো শনাক্ত করার জন্য মাঠপর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কাজ চলছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারাও বিভাগকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, নতুন করে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বরিশালে ২২ জন, পটুয়াখালীতে ১০২, ভোলায় ২১, পিরোজপুরে ৬৪, বরগুনায় ৪১ ও ঝালকাঠিতে ৩০ জন। এ ছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় একজন। এ নিয়ে সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তি ছয়জন।

এদিকে বিভাগে নতুন করে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৭ জনের। গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন ৬৬ জন।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক বাসুদেব কুমার বলেন, জেলা-উপজেলা হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষা সরঞ্জাম এরই মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্টদের শঙ্কার কারণ নেই। এ ছাড়া সর্দি–কাশি ও জ্বরের রোগীকে দেখার হাসপাতালগুলোতে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। টিকিট কাউন্টারে গেলেই এ বিষয়ে তথ্য জানা যাবে।