Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে শর্ত সাপেক্ষে আমদানি-রপ্তানি চালু হচ্ছে শনিবার

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ ও ভারতের অব্যাহত লকডাউনে দীর্ঘ ৭৯ দিন বন্ধ থাকার পর ১৩ দফা শর্ত সাপেক্ষে আগামীকাল শনিবার থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের সম্মেলনকক্ষে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার আনিসুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত, সিভিল সার্জন মো. ফজলুর রহমান, পঞ্চগড় শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি মো. শরীফ হোসেন, আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খানসহ কাস্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

তেঁতুলিয়া উপজেলায় অবস্থিত চতুর্দেশীয় (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান) ব্যবসা–বাণিজ্যের এই স্থলবন্দর করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৫ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের লোকসান এবং সরকারের রাজস্ব আয় বন্ধ হয়ে যায়। আর কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকেরা মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন।

কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের আমদানি-রপ্তানিকারকদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক ও চিঠি আদান-প্রদানের পর সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চার দেশের মাঝে এই বন্দর দিয়ে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসায়ীরা। সর্বশেষ তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের সভায় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত হলো।

স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ জেলা প্রশাসনের দেওয়া ১৩ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা বিদেশি ট্রাকচালকেরা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কোনো অবস্থাতেই গাড়ি থেকে নামতে পারবেন না। প্রয়োজনে তাঁরা পানিসহ শুকনা খাবার ও কাগজ–কলম সঙ্গে নিয়ে আসবেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ বিদেশি চালকদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্থা করবেন। তাঁরা কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারবেন না। চালকদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও বহির্গমনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া এসব তদারকি করার জন্য একটি তদারকি কমিটি থাকবে এবং বন্দরের সব কার্যক্রম ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে।