Thank you for trying Sticky AMP!!

বাপেক্স তেল-গ্যাস না তুললে বিদেশিরা আসবেই: প্রতিমন্ত্রী

নসরুল হামিদ। ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাপেক্সের অক্ষমতার দায় নেবে না এই সরকার। বাপেক্সের কাজের মূল্যায়ন করা হবে। কাজ করতে না পারলে কাজ বিদেশি কোম্পানির হাতে যাবে।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেশের একমাত্র তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

আজ ‘জিওলজিক্যাল ফিল্ড সার্ভে ফর হাইড্রো কার্বন এক্সপ্লোরেশন ইন বাংলাদেশ: প্রোগ্রেস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জস’ এবং ‘ড্রাই অ্যাবেন্ডেন্ট অ্যান্ড সাসপেন্ডেন্ট ওয়েলস অব বাংলাদেশ অ্যান্ড রিভিজিট ফর ফারদার এক্সপ্লোরেশন’ শীর্ষক দুটি ম্যানুয়ালের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

নসরুল হামিদ বলেন, বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার বেশির ভাগ কর্মকর্তার কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ নেই। তাঁরা যখন আবার এ সংস্থা থেকে বের হয়ে যান, তখন নানা রকম উদ্ভাবনের কথা বলেন। এর কারণ খুঁজে বের করা দরকার। বাপেক্সের কর্মকর্তারা সাপের ভয়ে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করতে পারছেন না—এটি কোনো যুক্তি না।

নসরুল হামিদ বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে অনেকে অভিযোগ করেন, ‘বাপেক্সকে কাজ দেওয়া হয় না’। প্রকৃত চিত্র হলো বাপেক্সকে পুরো বাংলাদেশ দেওয়া হয়েছে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে। কিন্তু বাপেক্সের কাজের গতি কম। তাদের কাজের গতি বাড়াতে হবে। আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একসময় বাপেক্স বড় বড় কাজ করেছে। কিন্তু এখন তাদের অবস্থা ভালো না। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থাকে এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। পেট্রোবাংলারও একই অবস্থা। তাদের কোনো ভালো ভূমিকা নেই।

এ সময় জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, দেশের তিন পার্বত্য জেলায় গ্যাসের অনুসন্ধান হয়নি। সেখানে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক। কারণ, সীমান্তের ওপারে একই ধরনের ভূকাঠামোয় ভারত একের পর এক কূপ খনন করে গ্যাস পাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সকে মাথা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়াতে হবে এখনই। দেশে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকার পরও এলএনজি আমদানি বাপেক্স-পেট্রোবাংলার অযোগ্যতাই প্রমাণ করে।

বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর মো. আবদুল হান্নান বলেন, বাপেক্স ১৫টি কূপ খনন করে ৬টিতে গ্যাস পেয়েছে। এটি বিশ্বের জন্য অনেক বড় বিষয়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জ্বালানিসচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এ ছাড়া ম্যানুয়াল দুটি উপস্থাপন করেন বাপেক্সের মহাব্যবস্থাপক অহিদুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন।