Thank you for trying Sticky AMP!!

বাবাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ছেলেসহ চারজন রিমান্ডে

প্রতিকী ছবি

বাবাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ছেলেসহ তাঁর চার বন্ধুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে যাত্রাবাড়ী থানা-পুলিশ। গতকাল শনিবার ওই চারজনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

চার আসামি হলেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে সামিউল আহম্মেদ (২১), তাঁর তিন বন্ধু যাত্রাবাড়ীর সাব্বির হোসেন (২০), মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের সিফাত (২০) এবং মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীর কাউসার আহম্মেদ (২১)।

তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক আয়ান মাহমুদ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, পঞ্চাশ বছর বয়সী হাবিবুর রহমান যাত্রাবাড়ী এলাকায় বসবাস করেন। তাঁর ছেলে সামিউল আহম্মেদ তাঁর বন্ধুদের নিয়ে হাবিবুর রহমানকে একটা ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করেন। পুলিশ খবর পেয়ে হাবিবুর রহমানের ছেলেসহ তাঁর চার বন্ধুকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করে। গতকাল শনিবার চারজনকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নিজের ছেলেসহ তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে হাবিবুর রহমান গতকাল যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।

মামলায় হাবিবুর রহমান বলেন, তাঁর বড় ছেলে সামিউল আহম্মেদ প্রায় সময় তাঁর ঘর থেকে টাকাপয়সা নিয়ে যেতেন। এ নিয়ে কোনো কথা বলতে গেলে তাঁকে গালিগালাজ করতেন। মেরে ফেলার হুমকি দিতেন। শুক্রবার সন্ধ্যার সময় তিনি নিজ বাসার দক্ষিণ পাশের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ছেলে তিন বন্ধুকে নিয়ে তাঁর কক্ষে আসেন। প্রথমে গামছা আর দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে ওই কক্ষে আটকে রাখেন। পরে তাঁর ছেলে হত্যার উদ্দেশ্যে কাচের গ্লাস ভেঙে কপালে বারবার আঘাত করেন। এতে তাঁর বাঁ চোখের নিচে কেটে যায়। ছেলের বন্ধু সাব্বির লোহার রড দিয়ে বা হাতের কনুইয়ের ওপর আঘাত করেন। পরে সাব্বির তাঁর পকেট থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়ে যান।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মারধরের খবর পেয়ে বাড়িওয়ালার ছেলে হাবিবুর রহমানকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

পুলিশ কর্মকর্তা আয়ান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, মা–বাবার সঙ্গে সামিউলের সম্পর্ক খুব খারাপ। বাবার কাছ থেকে এর আগে অনেক টাকা নিয়েছেন সামিউল। তবে কেন হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন, সেই রহস্য উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে।