Thank you for trying Sticky AMP!!

বাসটি গড়িয়ে গড়িয়ে খাদে পড়ল

সামনে ঈদ। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ না করতে পারলে কি আর হয়! সে লক্ষ্যেই গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে তল্পিতল্পা বেঁধে রওনা হয়েছেন এক দল পোশাককর্মী। গন্তব্য রাজশাহী। কিন্তু যে বাসে করে তাঁরা রওনা হয়েছেন সেটির চালক মাঝপথে ঘুমিয়ে পড়ে ঘটালেন বিপত্তি। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার রয়না এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল সড়কে পৌঁছালে নিজের আসনে বসেই চালক ঘুমিয়ে পড়েন। বাসটি উল্টে গড়াতে গড়াতে গিয়ে পড়ে মহাসড়কের পাশের খাদে। 

এতে বাসের এক নারী যাত্রী নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। আহত লোকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত লোকজনের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর বলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা জানিয়েছেন। নিহত যাত্রী মঞ্জুয়ারা বেগমের (৫০) মৃতদেহ বাসের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পোল্লাপুড়ি গ্রামের আজিমুদ্দিনের স্ত্রী।

বনপাড়া হাইওয়ে থানা, নাটোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীদের সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে মঙ্গলবার সকালে একটি লোকাল বাস প্রায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে রাজশাহীতে যাচ্ছিল। যাত্রীরা সবাই পোশাককর্মী। বাসটি বড়াইগ্রামের রয়না এলাকায় বনপাড়া-হাটিকুমরুল সড়কে পৌঁছালে হঠাৎ করে উল্টে যায় এবং গড়াতে গড়াতে সড়কের পাশের খাদে গিয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে যাত্রীদের উদ্ধার করতে শুরু করেন। খবর পেয়ে নাটোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ও বনপাড়া হাইওয়ে থানার পুলিশ এবং বড়াইগ্রাম থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।
সে সময় মঞ্জুয়ারা বেগম নামের এক নারীর মৃতদেহ বাসের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। তিনি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পোল্লাপুড়ি গ্রামের আজিমুদ্দিনের স্ত্রী। অন্তত ৩৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বনপাড়ার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, নাটোর সদর হাসপাতাল ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাসের আহত যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, বাসের চালক ক্লান্ত ছিলেন। বাসটি কোনাবাড়ী থেকে ছাড়ার পর বেশ কয়েকবার তাঁকে ঝিঁমোতে দেখা গেছে। যাত্রীরা তাঁকে কয়েকবার সতর্ক করেছেন। কিন্তু চালক তাতে কর্ণপাত করেননি। দুর্ঘটনার সময় যাত্রীরাও ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বাসটি সড়কের পাশে উল্টে যায় এবং গড়াতে গড়াতে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। বাসের আরেক যাত্রী আবু তালেব (৩৫) জানান, বাসটি লোকাল রুটের ছিল। ঈদ উপলক্ষে রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে রাজশাহী যাচ্ছিল। স্বাভাবিকের চেয়ে বাসটিতে অনেক বেশি যাত্রী ছিল।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুন নূর জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। তবে বাসটিকে উঠানো সম্ভব হয়নি। বাসের চালক ও সহকারী পালিয়েছেন। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। যাত্রীদের ভাষ্যমতে চালক ঘুমাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।