Thank you for trying Sticky AMP!!

বাসায় গিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতা

>নুরুল ইসলাম শেখ, তিনি ডিএসসিসির অঞ্চল-২-এর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মশক নিধন কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। প্রতিদিন সকাল ৮টা বাজতেই দক্ষিণ কমলাপুর, গোপীবাগ ও আশপাশের এলাকায় চলে যান তিনি। যন্ত্রের মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি তিনি বাসায় বাসায় গিয়ে জমে থাকা পানি সম্পর্কে বাসিন্দাদের সচেতন করেন। শুধু নুরুল ইসলাম শেখই না, তাঁর মতো আরও প্রায় ৭৫ জন কাজ করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-২-এর বিভিন্ন এলাকায়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাকি ৪টি অঞ্চলের এলাকাগুলোতে এভাবেই চলছে মশক নিধনের কার্যক্রম। সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, ২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রম চলবে অক্টোবর পর্যন্ত। সাধারণত বাসাবাড়ির ফুলের টব, পরিত্যক্ত ড্রাম, বোতল, ছাদবাগানে বালতি ও বাটিতে জমে থাকা পানিতে মশার লার্ভা জন্মায়। এক থেকে দুই দিনের জমে থাকা পানিতেই ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এসব লার্ভা এক সপ্তাহের মধ্যেই মশায় পরিণত হয়।
নুরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন সকাল আটটায় এই কার্যক্রম শুরু হয়। চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। দুই ঘণ্টা বিরতি রেখে আবার বেলা তিনটায় শুরু হয়। চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। কখনো কখনো তা রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত গড়ায়।
নুরুল ইসলাম তাঁর দায়িত্বে থাকা এলাকাগুলোর বাসাবাড়িতে গিয়ে গিয়ে ফুলের টব, পরিত্যক্ত ড্রাম, বোতল, ছাদবাগানের বালতি পরীক্ষা করেন।
নুরুল ইসলামদের পক্ষে প্রতিটি বাড়ি গিয়ে দেখা সম্ভব না হলেও কাজটি চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
বেশির ভাগ বাড়ি ঘুরে অবশ্য পানি জমে আছে এমনটা খুঁজে পান না ডিএসসিসির কর্মকর্তারা। তবে দু-একটি বাড়িতে তা পাওয়া যায়।
অনেক বাড়ির ছাদে বৃষ্টির পানি জমে থাকে, বাড়ির লোকজন হয়তো জানেনই না। সেখান থেকেই শত শত ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা জন্মাবে।
দক্ষিণ কমলাপুরের ৭৪ নম্বর হোল্ডিংয়ে ছাদে পাওয়া গেল এই চিত্র।
মাত্র দুদিনে জমা বৃষ্টির পানিতে জন্মেছে এডিস মশার লার্ভা
নুরুল ইসলাম এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করছেন