Thank you for trying Sticky AMP!!

বিএনপির অজগর সব গিলে খেয়ে ফেলে: তথ্যমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) তো বড় অজগর, সব গিলে খেয়ে ফেলে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘কেঁচো খুঁড়তে আওয়ামী লীগের সাপ বেরিয়ে আসছে’—এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে ‘বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী সংস্থা’র সঙ্গে বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এটির জন্য বিএনপির উচিত সরকারকে সাধুবাদ জানানো। যেখানেই মাদক, ক্যাসিনো বা অনিয়ম, সেখানেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেখানে কে কোন মতের, সেটি দেখা হচ্ছে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আমলেই এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তারা বরং দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাওয়া ভবন বানিয়ে প্রত্যেক ব্যবসায় ১০ শতাংশ কমিশন বসানো হয়েছিল। খোয়াব ভবন বানিয়ে আমোদ-ফুর্তি করা হয়েছিল।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সেই জায়গায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন এই সমস্ত অনিয়ম, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অগ্রসর হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তো বিএনপির খুশি হওয়ার কথা, সাধুবাদ দেওয়ার কথা। তাদের ব্যর্থতার জন্য লজ্জা পাওয়ার কথা। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সেখানে রেখে, নিজেরা বাংলাদেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিলেন। তাদের এই নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’

‘দলের এমপি-মন্ত্রী এ ধরনের কাজে মদদদাতা হলে কী হবে’—এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমরা পরপর তৃতীয়বার রাষ্ট্রক্ষমতায়। তৃতীয়বার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে অনেক অনুপ্রবেশকারী আমাদের সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঢুকেছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারা যে কথাগুলো বলেছে, আমি পত্রপত্রিকায় দু-এক জায়গায় দেখেছি, এই কথাগুলো “স্টিল নট ভেলিডেটেড”। তবে তাদের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিল্পীসম্মানী বৃদ্ধি প্রয়োজন
তথ্যমন্ত্রী হাছান এ সময় বলেন, ‘শিল্পীরা সবাই না হলেও অনেকেই তাদের অভাব অভিযোগ কাউকে জানতে দেয় না। এবং জানতে না দিয়েই তারা নিজের বেদনা, নিজের যাতনা গোপন করে অন্যকে আনন্দ দেয়। সমাজকে তারা সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এই জন্য আপনাদের যে দাবি আমরা সেটি বিস্তারিত আলোচনা করব। তবে একটি দাবির সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত যে শিল্পীসম্মানী বাড়াতে হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় শিল্পীদের অনন্য ভূমিকা ছিল। এমনকি ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর গণতন্ত্রকে যখন বন্দী করা হলো, গণতন্ত্রের পায়ে যখন শিকল পরিয়ে দেওয়া হলো, তখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে আমাদের শিল্পীরা অনন্য ভূমিকা পালন করেছে।’

নতুন রূপে বিটিভি
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতে বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখা যেত না, সীমান্তবর্তী এলাকায় যেটুকু দেখা যেত, সেটি কোনো কনভেনশনাল চ্যানেলে নয়, এমনিতেই দেখা যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে আমরা ইতিমধ্যে ভারতে ডিটিএইচ ফ্রি ডিশের মাধ্যমে পুরো ভারতবর্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন বিনা মূল্যে দেখানো শুরু হয়ে গেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কদিন আগে ত্রিপুরা গিয়েছি, ত্রিপুরাতে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বাংলাদেশের অনেক চ্যানেল দেখা যায়, আমি নিজে দেখেছি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিটিভিতে অডিশন বন্ধ ছিল অনেক বছর, আমরা সেগুলো চালু করেছি। বিতর্কের কোনো তুলনা নেই। কেন বিতর্ক বন্ধ ছিল, তা আমার জানা নেই। আমরা ঢাকা এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রেই জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা চালু করেছি। বাংলা এবং ইংরেজি দুটোতেই।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘“নতুন কুঁড়ি” নামে একটি ভালো অনুষ্ঠান হতো বিটিভিতে। আজকে অনেকে প্রতিষ্ঠিত শিল্পী এবং রাজনৈতিক এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের আবির্ভাব “নতুন কুঁড়ি”র মাধ্যমে। এটিও বন্ধ। আমরা সেটিও আবার পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি।’

আজকের সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান-উল-আলম, শিল্পী সংস্থার সভাপতি ইনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আজম বাশার ও সদস্যদের মধ্যে এস এম মহসিন, মো. খালেকুজ্জামান, বুলবুল মহলানবিশ, ইফ্‌ফাত আরা নার্গিস, আজিজুর রহমান, কবি রবীন্দ্র গোপ প্রমুখ অংশ নেন।