Thank you for trying Sticky AMP!!

বিএনপি ও গণফোরাম প্রার্থীর যত অভিযোগ

বিএনপির প্রার্থী জি এম সিরাজ ও গণফোরামের প্রার্থী আবু সাইয়িদ

বগুড়া–৫ আসনে নির্বাচন বাতিল চেয়েছেন বিএনপির প্রার্থী জি এম সিরাজ। পাবনা–১ আসনে গণফোরামের প্রার্থী আবু সাইয়িদ শুধু নিজের আসন বেড়া-সাঁথিয়া নয়, সারা দেশের নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

আজ রোববার শেরপুর-ধুনট (বগুড়া–৫) আসনে বিএনপির প্রার্থী জি এম সিরাজ অভিযোগ করেন, ‘শেরপুরের গারিদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়ায় সহিংসতা হয়েছে। প্রথমে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সেখানে গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি করেছে। সেখানে আগেই ভোট কাটা হয়েছে। গতকাল রাতে ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল নিয়ে আওয়ামী ক্যাডাররা ব্যাপক সন্ত্রাস করেছে। তাদের হামলায় আহত তাঁর এক কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

জি এম সিরাজ বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সংসদ নির্বাচন বাতিলের জন্য দাবি জানিয়েছেন। তবে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেবেন না বলে জানান। তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত টিকে দেখাতে চান তাঁর ওপর কতটা অনিয়ম-জুলুম হয়েছে। মুঠোফোনে ‘প্রথম আলো’র কাছে তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমি আগের রাতেই খবর পেয়েছিলাম যে বেশ কিছু কেন্দ্রে এক থেকে দেড় শ সশস্ত্র লোক খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করেছে। বিষয়টি আমি ডিসিকে আগের রাতেই জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁরা তদন্ত করেননি। ধুনটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত রাতে অবশ্য পুলিশ ও বিজিবি পাঠান। বিজিবি দেখে তারা পালিয়েছে।’

জি এম সিরাজ অভিযোগ করেন, সকালে তিনি খবর পেয়েছেন ১৭৯ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ কেন্দ্রের ভোট বাক্সে আগের রাতেই ব্যালট পেপার বোঝাই করা হয়েছে। বাকি ২০ ভাগের মধ্যে যেসব কেন্দ্রে আমার ভোটার কম, সেখানে ভোট গ্রহণ চলছে। দুর্বৃত্তরা জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারছে। এ রকম সিল মারা ব্যালট আমার হাতে রয়েছে। সকাল আটটা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে বেশির ভাগ জায়গায় ভোট শেষ হয়ে গেছে।

গণফোরাম প্রার্থী আবু সাইয়িদ বলেছেন, ৮০ ভাগ ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। তিনি সংসদ ভেঙে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পুনর্গঠিত ইসির অধীনে সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।