Thank you for trying Sticky AMP!!

বিচ্ছিন্ন কালভার্ট, কষ্টে চলাচল

কালভার্টের দুই পাশে মাটি না থাকায় বিচ্ছিন্ন সংযোগ সড়ক। কষ্টে চলাচল করতে হচ্ছে স্থানীয় লোকজনকে। গত সোমবার বিকেলে দীঘিনালার বেতছড়ি পশ্চিম পাড়া সড়কে। প্রথম আলো

কালভার্টের দুই পাশে মাটি নেই। সড়কের সঙ্গে সংযোগ না থাকায় চলাচল করতে হচ্ছে কাঠের তক্তা বিছিয়ে। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী লোকজনের কষ্ট বেড়েছে। এই চিত্র খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বেতছড়ি পশ্চিম পাড়া সড়কে।

স্থানীয় লোকজন জানান, কালভার্টের দুই পাশে মাটি না থাকায় সড়কটি দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। এ জন্য গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে হলে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা ঘুরতে হয়।

গত সোমবার বিকেলে সরেজমিনে উপজেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে বেতছড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কটিতে লোকজনের চলাচল কম। দুই পাশে কাঠের তক্তা বিছিয়ে আশপাশের বাসিন্দারা সড়কটি ব্যবহার করছেন উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্য। এতে নারী ও শিশুদের যাতায়াতে বেগ পেতে হচ্ছে বেশি। তক্তাগুলোও জীর্ণ হয়ে পড়েছে।

বেতছড়ি পশ্চিম পাড়া এলাকার মো. মোতালেব মিয়া বলেন, কালভার্টের দুই পাশে মাটি না থাকায় এবং রাস্তা নির্মাণ না করায় গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিভিন্ন কৃষিপণ্য নিয়ে গ্রামবাসীকে দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়।

রহিমা বেগম বলেন, ‘গ্রামের ৩০-৩৫ জন ছেলে বিদ্যালয়ে যায়। কালভার্টটির কারণে আমাদের ও ছেলেমেয়েদের অনেক কষ্ট হয়। দুই পাশে মাটি দিলে এবং রাস্তা নির্মাণ করলে আমাদের কষ্ট দূর হবে।’

সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়া এলাকায় ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪ ফুট প্রস্থের একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। কালভার্টের দুই পাশে কোনো মাটি ভরাট করা হয়নি। মেরুং ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহ আলম বলেন, কালভার্টটি ৮০ হাজার টাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। দুই পাশে মাটি ভরাটের বরাদ্দ ছিল না। দুই পাশে রাস্তা নির্মাণ করলে এলাকাবাসীর কষ্ট আর থাকবে না। মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) রহমান কবীর বলেন, বরাদ্দ এলে কালভার্টের দুই পাশে রাস্তা করে দেওয়া হবে।