Thank you for trying Sticky AMP!!

বিদেশে কর্মী যাওয়া কমছে ৭১ শতাংশ: রামরু

প্রবাসী কর্মীরা দেশে ফিরছেন

করোনার প্রভাবে গত মার্চ থেকে কাজ নিয়ে বিদেশে যেতে পারেননি বাংলাদেশিরা। আগের বছরের তুলনায় সাড়ে তিন শতাংশ বেশি কর্মী যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বছরের শুরুর তিন মাসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি ৭১ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে যাবে।

তবে প্রবাসী আয় রেমিট্যান্সের প্রবাহ আগের চেয়ে বাড়ছে। বছর শেষে এটি ১৭ শতাংশ বাড়তে পারে।

আজ মঙ্গলবার ‘বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০২০ সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ নিয়ে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)। রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার তাসনিম সিদ্দিকী বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।

তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, গত ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এ বছর ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮২ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে গেছেন। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত গেছেন ১ লাখ ৮১ হাজার ২১৮ জন। আর অক্টোবরের পর গেছেন ২ হাজার ৪৬৪ জন।

লিখিত নিবন্ধে রামরু জানায়, নভেম্বর পর্যন্ত অভিবাসী শ্রমিকেরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার। গত বছর দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। তবে এ বছর লোক যেতে না পারায় আগামী বছর রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে রামরু।

কোভিড সংকটেও সবচেয়ে বিপদের মুখে ছিলেন অভিবাসী শ্রমিকেরা। জুলাই পর্যন্ত বিশ্বের ১৮৬টি দেশে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের মধ্যে ৭০ হাজার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৩৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

আর ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মারা গেছেন ২ হাজার ৩৩০ জন। শুধু সৌদি আরবেই মারা গেছেন ৯৮৯ জন অভিবাসী। অভিবাসনের দেশে অন্যান্য দেশের জনসংখ্যার তুলনায় বাংলাদেশিদের মৃত্যু অনেক বেশি চোখে পড়ে। জুলাই পর্যন্ত আরব আমিরাতে ৩২৮ জন অভিবাসী মারা গেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ১২২ জন। কুয়েতে মারা যাওয়া ৩৮২ জনের মধ্যে বাংলাদেশি ৬০ জন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিক। তিনি জানান, ১১ বছর ধরেই বছর শেষে অভিবাসন খাতের একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরছে রামরু।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, করোনার সংক্রমণের জন্য অভিবাসী কর্মীদের দিকে আঙুল তোলা হয়েছিল। করোনা ছড়ানোর দায় অব্যবস্থাপনার, অভিবাসীদের নয়। এরপর আবার ভিয়েতনাম থেকে দেশে ফেরা অভিবাসীদের কারাগারে পাঠানো হলো। আসলে অভিবাসীদের বিষয়ে নেতিবাচক মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।