Thank you for trying Sticky AMP!!

বিদ্যুতের বকেয়া আদায়ে চলছে প্রায় ২২ হাজার মামলা

প্রতীকী ছবি

বিদ্যুতের বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় গ্রাহকদের বিরুদ্ধে এখন মোট ২১ হাজার ৮৩৮টি মামলা চলছে। ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি এই মামলাগুলো করেছে। এসব মামলার বিপরীতে মোট বকেয়ার পরিমাণ ৫৯৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এর আগে গত জানুয়ারিতে বিদ্যুৎ বিভাগ সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছিল, সারা দেশে গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ বিভাগের পাওনা রয়েছে ৮ হাজার ৫৫৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

বৈঠকের কার্যপত্র সূত্রে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি মামলা করেছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। তাদের করা চলমান মামলার সংখ্যা ৯ হাজার ৮৪৫টি। এসব মামলার বিপরীতে বকেয়ার পরিমাণ ৫২ কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ২৫৪ টাকা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের করা মামলা আছে ৪ হাজার ৪৬৬টি। তাদের পাওনা ৫৮ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার ১৩৪ টাকা।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) করা মামলা আছে ৩ হাজার ৫৩৮টি। মোট ১৮৪ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৮৯৭ টাকা বকেয়া আদায়ের জন্য এসব মামলা করেছে সংস্থাটি। ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো)করা মামলার সংখ্যা ১৪টি। এসব মামলার বিপরীতে তাদের পাওনা প্রায় ১৪০ কোটি টাকা। নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) মামলা করেছে ৩ হাজার ৯৮৮টি। এসব মামলায় তাদের পাওনা প্রায় ৪৪ কোটি টাকা। আর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) করা মামলা আছে ৪৭টি। এসব মামলার বিপরীতে তাদের পাওনা প্রায় ১১৫ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বৈঠকে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক কেব্‌ল স্থাপন নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬৯২ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ লাইন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ডিপিডিসির ২ হাজার ৪২২ কিলোমিটার এবং ডেসকোর ৪৮৮ কিলোমিটার লাইন স্থাপন করা হবে। ভূগর্ভস্থ লাইন নির্মাণকাজের পরামর্শক বিদেশি। করোনা পরিস্থিতির কারণে কাঙ্ক্ষিতভাবে কাজ এগোয়নি।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক কেব্‌ল স্থাপনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। এ ছাড়া বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতির মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, আবু জাহির, এস এম জগলুল হায়দার, আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম এবং নার্গিস রহমান বৈঠকে অংশ নেন।