Thank you for trying Sticky AMP!!

বিদ্যুৎ-সংকটে পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

পটুয়াখালীর পায়রায় কয়লাভিত্তিক ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের অভাবে তা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। পটুয়াখালী-পায়রা ৪৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় বিদ্যুৎ আনা যাচ্ছে না।

চলতি মার্চ মাসে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। আর আগামী ২৪ আগস্ট থেকে এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক সঞ্চালনের কথা। এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ গোপালগঞ্জ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য যে সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে, তাও সময়মতো শেষ হচ্ছে না। ফলে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি নির্মিত হলেও উৎপাদনে আসা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, এতে সরকার অন্তত ৮০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট থেকে মোট বিদ্যুৎ আসবে ২৬৪০ মেগাওয়াট। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে নিরবচ্ছিন্ন জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য পটুয়াখালী-পায়রা ১৩২ কেভি (কিলো ভোল্ট) এবং পায়রা-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভির ১৪৭ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপনের দায়িত্ব রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি)। এই লাইন স্থাপনের জন্য পায়রা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পিজিসিবির চুক্তি হয় ২০১৬ 

সালে। তারা পটুয়াখালী-পায়রা সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজটি দেয় দেশীয় প্রতিষ্ঠান কনফিডেন্স পাওয়ারকে।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আল-বেরুনী বিসিপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে লেখা এক চিঠিতে জানান, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এর মধ্যে ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ শেষ হবে।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মওলা প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রের যন্ত্রপাতিগুলো আলাদাভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা দরকার। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে সে কাজ থেমে আছে।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মাসুম-আল-বেরুনী ফোন ধরেননি। মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠালে তিনি প্রধান প্রকৌশলী প্রণব কুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। প্রণব কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সঞ্চালন লাইনটি নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য।’

বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, বর্তমান অবস্থায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের পরও উৎপাদনে যেতে পারবে না। এতে ক্ষতি হবে অন্তত ১০০ মিলিয়ন ডলার বা ৮০০ কোটি টাকা। আবার বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে এলে ছোট ছোট তেলভিত্তিক কেন্দ্র বন্ধ করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। কারণ, এগুলোর উৎপাদন ব্যয় কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের আড়াই গুণের বেশি।

সমান মালিকানায় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যৌথভাবে নির্মাণ করছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও চীনা প্রতিষ্ঠান সিএমসি। এই দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে কেন্দ্র পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) নামে পৃথক একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে।