Thank you for trying Sticky AMP!!

বিমানবন্দরে ১০ ঘণ্টা আটকে থেকে ফিরে গেল ব্রাজিলের ব্যান্ড

ব্রাজিলের বিখ্যাত গানের দল ক্রাইসিউন ও নার্ভোক্যাওয়াসকে ১০ ঘণ্টা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে রাখা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে মুক্তি পেলেও কনসার্ট না করেই ফেরত গেছে তারা। গতকাল বুধবার সকালে তারা জাপান চলে গেছে। মঙ্গলবার তাদের ঢাকায় কনসার্ট করার কথা ছিল।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যান্ড দুটি আলাদা বিবৃতি দিয়েছে।
ডেথ মেটাল ব্যান্ড নামে একটি বিশেষ ঘরানার সংগীত পরিবেশনকারী ব্যান্ড দল ক্রাইসিউন তাদের অফিশিয়াল ওয়েবপেজে বলেছে, একদিন না একদিন তারা বাংলাদেশে কনসার্ট করবেই। তারা বলেছে, ‘বাংলাদেশের মেটাল-রকপ্রেমীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আমরা জানি আজ যে আমাদের কনসার্ট বাতিল হলো, এর দায় তাদের নয়। আমাদের অবস্থান কোনো ধর্ম, রাজনৈতিক দর্শন বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়।’
নার্ভোক্যাওয়াসও তাদের বিবৃতিতে বলেছে, তারা মারাত্মক ভুল-বোঝাবুঝির শিকার।
কনসার্টের আয়োজক বিগ এলিফ্যান্টের স্বত্বাধিকারী রাফিউদ্দীন খান প্রথম আলোকে বলেন, ব্যান্ড দুটি এশিয়া ট্যুরে ছিল। মাস দুয়েক আগে তাঁরাই ব্যান্ড দুটিকে আমন্ত্রণ জানান। তারাও রাজি হয়। মঙ্গলবার বিকেল চারটায় কারওয়ান বাজারের টিসিবি মিলনায়তনে ক্রাইসিউন ও নার্ভোক্যাওয়াসের কনসার্ট করার কথা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে তারা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে জানায়। তারপর পুলিশের বিশেষ শাখার সঙ্গে অনুমতির জন্য যোগাযোগ শুরু করে। ৮ মে বিকেল চারটার সময় আয়োজক প্রতিষ্ঠানটিকে জানানো হয়, কনসার্টের অনুমতি পাওয়া যায়নি। ওই দিনই দিবাগত রাত সোয়া একটায় ব্যান্ড সদস্যরা জাকার্তা থেকে ঢাকার বিমানবন্দরে পৌঁছান। কনসার্টের অনুমতি না থাকায় অভিবাসন পুলিশ তাঁদের বিমানবন্দরে ১০ ঘণ্টা আটকে রাখে।
রাফিউদ্দীন আরও জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরে কনসার্টের অনুমতি দেয়। কিন্তু ব্যান্ড সদস্যরা আর কনসার্টে অংশ নিতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অভিবাসন পুলিশ) মুকিত হাসান খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো বিদেশি শিল্পী অনুষ্ঠান করতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগে। যত দূর জানতে পেরেছি, তাঁদের অনুমতি ছিল না।’
ব্রাজিলীয় দূতাবাসের শার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স জুলিও সিজার সিলভা বলেন, কোনো ব্যাখ্যা না দিয়েই অভিবাসন পুলিশ ব্যান্ড সদস্যদের বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখে। পরে তিনি অভিবাসন পুলিশ ও পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। ব্যান্ড সদস্যরা আটকাবস্থা থেকে মুক্তি পান। তাঁরা ঢাকায় একটি হোটেলে ছিলেন।