Thank you for trying Sticky AMP!!

বিরোধী দল কিছুটা অবিচারের শিকার

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের প্রতি কিছুটা অবিচার করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, তাঁরা চান সংসদ কার্যকর থাকুক। কিন্তু মাঝেমধ্যে স্পিকারের চেয়ার থেকে বিরোধী দলকে থামিয়ে দেওয়া হয়। বিরোধী দল ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়। প্রশ্ন করলে প্রশ্ন নেওয়া হয় না। বক্তব্যে হস্তক্ষেপ করা হয়।

কাজী ফিরোজ বলেন, সরকারি দলের সদস্যদের বক্তব্য এক-দুই মিনিট করে ১০ মিনিট পর্যন্তও বাড়ানো হয়। কিন্তু বিরোধী দলের সদস্যদের ক্ষেত্রে এক মিনিটের বেশি বাড়ানো হয় না।

একটি উদাহরণ টেনে কাজী ফিরোজ বলেন, তাঁদের দলের একজন নারী সদস্য প্রশ্ন করতে দাঁড়ালে তাঁকে প্রশ্ন করতে না দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরপরই সরকারি দলের একজন সদস্যকে সুযোগ দেওয়া হয়। ওই সদস্য ২২ লাইনের কবিতা আবৃত্তি করে ছোট্ট আধা লাইনের একটি প্রশ্ন করেন।
বিরোধী দলের প্রতি কিছুটা অবিচার করা হয়—এমন অভিযোগ করে স্পিকারের উদ্দেশে কাজী ফিরোজ বলেন, ‘আপনারা আমাদের কাছ থেকে কী ধরনের ভূমিকা চান?’
এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, বিরোধী দলকে সব সময় দেওয়া হয়।
এর আগে কাজী ফিরোজ আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার আহ্বান জানান।

সংসদে বিরোধী দলের আরেক সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, ব্যাংকগুলো ২০ হাজার কোটি টাকা মূলধন সহায়তা চেয়েছে সরকারের কাছে। এখন পর্যন্ত ৪৫ হাজার কোটি টাকা অবলোপন করা হয়েছে। তারপরও ৮০ হাজার কোটি টাকা এখনো খেলাপি। বেসিক ব্যাংকের চার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে, ফারমার্স ব্যাংকের কোনো খবর নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির কোনো কূলকিনারা হয়নি।