Thank you for trying Sticky AMP!!

বিল পাস, প্রতি জেলায় থাকবে শিশু আদালত

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় প্রতিটি জেলায় শিশু আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত থাকবে। এই বিধান রেখে আজ সোমবার জাতীয় সংসদে শিশু (সংশোধন) বিল ২০১৮ পাস হয়েছে।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন। বিলের ওপর দেওয়া বিরোধী দলের সদস্যদের জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়।

বিলে আইনের ১৬ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, শিশুর করা অপরাধ বিচারের জন্য প্রতিটি জেলা সদরে শিশু আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত থাকবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে। কোনো জেলায় এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল না থাকলে জেলা ও দায়রা জজ আদালত শিশু আদালত হিসেবে গণ্য হবে।

আইনের ১৮ ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দায়রা আদালত যেসব ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, শিশু আদালতও একই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

আইনের ১৫ ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি বা আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা–ই থাকুক না কেন, কোনো অপরাধের সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি ও শিশু জড়িত থাকলে পুলিশ প্রতিবেদন, অনুসন্ধান প্রতিবেদন বা তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুর জন্য পৃথকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুর অপরাধ আমলেও নিতে হবে পৃথকভাবে। একই ধারা সংশোধনের প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, শিশুর অপরাধ বিচারের জন্য মামলা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ শিশু আদালতে পাঠাতে হবে।

২৯ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করে বলা হয়েছে, শিশু আদালতে শিশুর জামিন মঞ্জুর না হলে আদালত জামিন মঞ্জুর না করার কারণ লিপিবদ্ধ করে শিশুকে কোনো প্রত্যায়িত প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর আদেশ দেবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ–সংবলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, শিশুদের কল্যাণ, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করে তাদের জাতি গঠনের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য এই বিল আনা হয়েছে।

এ ছাড়া সোমবার হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বিল ২০১৮ সংসদে পাস হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এ ১৯৭৭ সালে প্রণীত এ–সংক্রান্ত অধ্যাদেশ রহিত করার জন্য বিলটি পাস করা হয়েছে।