Thank you for trying Sticky AMP!!

বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডিসহ দণ্ডিত সাত পলাতককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

ফাইল ছবি

মানি লন্ডারিং আইনে করা মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরীন হাবিবসহ দণ্ডিত পলাতক সাত আসামিকে এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামিরা দেশত্যাগ করে থাকলে, তাদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

ওই মামলায় দণ্ডিত ব্যাংক কর্মকর্তা এস এম শোয়েব-উল-কবীরের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ৫ এপ্রিল আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এস এম আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।

পরে আইনজীবী হাসান এম এস আজিম প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর এস এম শোয়েব-উল-কবীর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিনের আবেদন করেন এই আসামি। জামিন আবেদন শুনানি নিয়ে আদালত দণ্ডিত অপর সাত পলাতক আসামিকে এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা পালিয়ে দেশত্যাগ করে থাকলে তাদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আইনজীবী সূত্র বলছে, ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর নিউ মার্কেট থানায় ওই মামলাটি করে দুদক, যেখানে ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। এই মামলায় ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ রায় দেন। রায়ে খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী নওরীন হাবিব, জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা এস এম শোয়েব-উল-কবীরসহ নয়জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।