Thank you for trying Sticky AMP!!

বেল্ট রোড উদ্যোগকে বাংলাদেশ স্বাগত জানায়: গওহর রিজভী

গওহর রিজভী। ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেছেন, চীনের বেল্ট রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) ঘোষণাকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। কারণ, এটি বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আজ শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে গওহর রিজভী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে প্রথম চীনা সাময়িকী ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড’–এর প্রকাশনা উপলক্ষে সেন্টার ফর ইস্ট এশিয়া ফাউন্ডেশন (সিইএএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গওহর রিজভী বলেন, বাংলাদেশ এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত। বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন ও উদ্যোগের মডেল।

কূটনৈতিক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে গওহর রিজভী বলেন, ‘চীন, জাপান, সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে পূর্বে বাংলাদেশের অসামান্য সম্পর্কের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের কূটনৈতিক দিক দিয়ে সফল। আমরা এটা বজায় রাখার চেষ্টা করব।’

ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ ও নীতিগত সংযোগের মাধ্যমে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের ৬০টি দেশকে যুক্ত করতে ২০১৩ সাল থেকে চীন বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগটি নেয়। সে সময় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এই নয়া ‘সিল্করুট’–এর ঘোষণা দেন। ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফর করেন। সে বছর বাংলাদেশ এ উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়। ২৫ এপ্রিলে চীনের বেইজিংয়ে বিআরআই সামিট হবে। এখন পর্যন্ত ১২৪টি দেশ ও ২৯টি আন্তর্জাতিক সংগঠন এ উদ্যোগে যুক্ত হকে সমঝোতা চুক্তি করেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, বেল্ট রোড উদ্যোগটি দ্বিপক্ষীয়, বহুপক্ষীয় সম্পর্ক এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে একটি বড় পরিবর্তন আনবে। এটি এশিয়া এবং চীনের নতুন উন্নয়নে প্রতিফলন আনবে। শুধু আঞ্চলিক পর্যায়ে নয়, এটি আন্ত–আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রভাব ফেলবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ছিয়েন ওয়েই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আলোচনা শেষে বাংলাদেশ থেকে প্রথম চীনা ত্রৈমাসিক ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড’ প্রকাশিত হয়। সিইএএফ প্রধান উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত সেলিনা মহসিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন চীনে নিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আজিজুল হক, সিইএএফের নির্বাহী পরিচালক নাসিম মাহমুদ।