Thank you for trying Sticky AMP!!

বেসরকারি পর্যায়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জাট বলেছেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য বেসরকারি খাতকে উন্নত করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যত বেশি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি হবে, তত বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি মিলনায়তনে গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত এক পরামর্শক সভায় জোহানেস জাট এসব কথা বলেন। বিশ্বব্যাংক কোন কোন খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা দিতে পারে, তার সম্ভাবনা অনুসন্ধানের লক্ষ্যে এ পরামর্শক সভার আয়োজন করে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ঢাকা কার্যালয়। শিক্ষাবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদ, সাংবাদিক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা, মানববাধিকার ও সমাজকর্মীদের নিয়ে সভাটির আয়োজন করা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সহসভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ। ধন্যবাদ দেন চেম্বারের পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ। এতে বাংলাদেশের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা ও দারিদ্র্য হ্রাসের মূল অগ্রাধিকার বিষয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের আরেক প্রধান অর্থনীতিবিদ সালমান জাহেদী, বেসরকারি খাত বিশেষজ্ঞ এ কে এম আবদুল্লাহ প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দর খান, প্রকৌশলী আলী আশরাফ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ রেজাউল করিম, মানবাধিকারকর্মী জেসমিন সুলতানা, শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফুলকির অধ্যক্ষ শীলা মোমেন, উন্নয়নকর্মী শ্যামলী মজুমদার, কাউন্সিলর রেহানা বেগম, মো. গিয়াস উদ্দিন, রেখা আলম চৌধুরী প্রমুখ।
বক্তারা চট্টগ্রামে পরিকল্পিত নগরায়ণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন, সুপেয় পানীয়জলের ব্যবস্থা, মহেশখালী ও সন্দ্বীপের মতো দুর্গম এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন, দুর্যোগ সহনশীল প্রযুক্তি ও সৌরশক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা চান। এ ছাড়া এইচআইভি/এইডসবিরোধী কর্মসূচির জন্য বিশ্বব্যাংকের বরাদ্দ বৃদ্ধি, শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শতভাগ শিশুর বিদ্যালয়মুখিতা নিশ্চিতকরণ, খাদ্যদ্রব্যের মানোন্নয়নে বিএসটিআইয়ের আধুনিকায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত জমির লবণাক্ততা সমস্যার সমাধান প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে ঢাকা, সিলেট ও যশোরে একই ধরনের সভা অনুষ্ঠিত হয়।