Thank you for trying Sticky AMP!!

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর কর আরোপ না করার দাবি এপিইউবির

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রস্তাবিত কর আরোপ না করার দাবি জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি)। একই সঙ্গে সংগঠনটি করোনা দুর্যোগের এই সময়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরকারিভাবে অনুদান-প্রণোদনা দেওয়ার দাবি করেছে।

আজ শুক্রবার সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ দাবি জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে সমিতি বলেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মহল এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী ট্রাস্টের অধীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত। ট্রাস্ট আইন ১৮৮২ অনুযায়ী ট্রাস্টের অধীন পরিচালিত হওয়ায় অলাভজনক প্রতিষ্ঠান করযোগ্য নয়। কোম্পানি আইন ১৯৯৪–এর আওতায় লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সঙ্গে ট্রাস্ট আইনে অলাভজনক হিসেবে পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর একই আওতায় সমভাবে আয়কর আরোপের প্রস্তাবনা আইনের পরিপন্থী এবং তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শিক্ষা খাতকে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় সরকার এ খাতে প্রাথমিক পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি ও অর্থসহায়তা দিয়ে থাকে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্বিদ্যালয়গুলো কোনো ধরনের সরকারি বরাদ্দ কিংবা অনুদান না পাওয়ার কারণে এসব বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফির ওপর নির্ভর করতে হয়। বেসরকারি বিশ্বিদ্যালয়গুলোর ওপর করারোপ করা হলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে তা ব্যাপক বৈষম্য সৃষ্টি করবে।

বর্তমানে দেশে ১০৭টি অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

বর্তমান করোনা দুর্যোগকালে অর্থসংকটে পতিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, ক্যাম্পাসভাড়া দেওয়া অনেক ক্ষেত্রেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একমাত্র অর্থপ্রাপ্তির উৎস হিসেবে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিও নিয়মিত পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া এইচএসসি পরীক্ষা সময়মতো না হওয়ায় শিক্ষার্থীসংকটও দেখা দিয়েছে। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও টিউশন ফির ওপর ছাড় দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।