Thank you for trying Sticky AMP!!

ভাই হত্যা মামলায় সাক্ষী দিলেন সাংসদ আমানুর

মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় কারাগারে আটক আওয়ামী লীগের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা নিজের ভাইয়ের হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিলেন। আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল আদালতে এসে আমানুর তাঁর বড় ভাই আমিনুর রহমান খান বাপ্পি হত্যা মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এই মামলায় সাক্ষী দেওয়ার জন্য আমানুরকে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে টাঙ্গাইল আদালতে আনা হয়। বেলা সাড়ে ১০টায় প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাকসুদা খানমের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। প্রায় ২৫ মিনিট সাক্ষ্য দেওয়ার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম তাঁকে প্রায় দেড় ঘণ্টা জেরা করেন। পরে সংক্ষিপ্ত জেরার পর আদালত জেরার জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। সাড়ে ১২টার সময় আমানুরকে কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। 

ফারুক হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি আমানুর ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। তারপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

২০০৩ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রানার বড় ভাই আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুর রহমান খান বাপ্পি সন্ত্রাসী হামলায় তাঁদের নিজ বাসার কাছে নিহত হন। এ সময় বাপ্পির সঙ্গী আব্দুল মতিন নামে তাঁর এক সহযোগী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। ঘটনার পর রানার বাবা আতাউর রহমান খান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল থানায় মামলা করেন। মামলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর দুই ভাই মুরাদ সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান, জেলা বিএনপির নেতা আলী ইমাম তপন, পৌর কমিশনার রুমি চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আব্দুর রৌফসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম ২০০৭ সালে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এই মামলার আসামি রুমি চৌধুরী ও আব্দুর রৌফ ২০০৪ সালের অক্টোবরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। এই দুজনের হত্যা মামলায় সাংসদ আমানুর ও তাঁর ভাইদের আসামি করে মামলা করা হয়।