Thank you for trying Sticky AMP!!

ভাঙনরোধে ফেলা জিও ব্যাগ থেকে বালু চুরি, গ্রেপ্তার ১

কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন রোধে ফেলা পাউবোর জিও ব্যাগ থেকে বালু বের করে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জ–সংলগ্ন বেলতলা এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

ভাঙনরোধে কীর্তনখোলা নদীর তীরে ফেলা জিও ব্যাগ (বালুভর্তি) থেকে বালু সরিয়ে বিক্রির অভিযোগে পারভেজ মুনসি (২৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জ-সংলগ্ন কীর্তনখোলা তীরের বেলতলা ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এই বালুভর্তি ব্যাগ ফেলেছিল।

বালু চুরির ঘটনায় পাউবোর বরিশাল কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী গাজী নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে পারভেজকে আসামি করে কাউনিয়া থানায় মামলাটি করেন। রাত ১১টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পাউবো সূত্র জানায়, বরিশাল নগরের আমানতগঞ্জ–সংলগ্ন বেলতলা এলাকায় সিটি করপোরেশনের পানি শোধনাগার (ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) থেকে চরবাড়িয়া এলাকার শেষ সীমানা পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার নদীভাঙন প্রতিরোধে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পাউবো। এই কাজের অংশ হিসেবে বেলতলা খেয়াঘাট–সংলগ্ন নদীর তীরবর্তী স্থানে ফেলা হয়েছে বালুভর্তি ব্যাগ।

চরবাড়িয়া এলাকার কয়েকজন বলেন, গত বৃহস্পতিবার বেলতলা খেয়াঘাট-সংলগ্ন এলাকায় পারভেজ মিয়া নামের স্থানীয় এক বালু ব্যবসায়ীকে লোকজন নিয়ে জিও ব্যাগ থেকে বালু তুলে নিতে দেখা গেছে। সেই বালু তাঁরা সিমেন্টের বস্তায় ভরে অন্যত্র নিয়ে যান। অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি জিও ব্যাগ খুলে এই বালু নিয়ে যাওয়া হয়। এসব বালু তিনি বিক্রি করেছেন। তবে পারভেজ মিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর একটি মুঠোফোন নদীতীরে খোয়া যাওয়ায় সেটি খুঁজতেই জিও ব্যাগ থেকে বালু বের করেছেন।

পাউবো বরিশাল কার্যালয় সূত্র জানায়, নদীতীরে ফেলা (ডাম্পিং) এসব জিও ব্যাগ বিশেষভাবে তৈরি। এসব ব্যাগে বালু ভর্তি করে মেশিনের সাহায্যে সেলাই করে মুখ আটকে দেওয়া হয়, যা পানির স্রোত বা ঢেউয়ে খুলে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। কিন্তু সেই সেলাই খুলে দিয়ে আবার মেশিন ছাড়া সেলাই করলে ভেতরের বালু পানির সঙ্গে বের হয়ে যাবে। এতে তীর রক্ষা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়বে।