Thank you for trying Sticky AMP!!

ভারতফেরত ৫ বাংলাদেশি আইসোলেশন ইউনিটে

বেনাপোল স্থল বন্দর । ফাইল ছবি

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতফেরত পাঁচ বাংলাদেশিকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে দেশে ফেরার পর তাঁদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইউসুফ আলী জানান, বেনাপোল স্থলবন্দরের অভিবাসন বিভাগে ঢোকার মুখে থার্মাল স্ক্যানার যন্ত্র বসানো আছে। স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের এই বিভাগে ঢুকতে হয় এই যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা থার্মাল স্ক্যানারে পরীক্ষা করা হয়। পরে যাত্রীরা অভিবাসন বিভাগ ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেরিয়ে যান। যন্ত্রটির একটু সামনে পর্যবেক্ষণকেন্দ্র। আজ দুপুরে ভারতফেরত পাঁচজনের শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পাওয়া যায়। এরপর তাঁদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত তাঁরা এখানে ভর্তি থাকবেন।

বেনাপোল স্থলবন্দরের অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ভারত সরকার আগেই স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী প্রবেশ বন্ধ ঘোষণা করে। এরপর ভারতজুড়ে লকডাউন শুরু হয়। পরে বাংলাদেশ সরকারও বিদেশি যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়। দুই দেশেই যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিনই ৪০-৫০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরছেন। আজ বিকেল পর্যন্ত ৬৫ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। যাঁরা দেশে ফিরছেন, তাঁদের সবার হাতে ‘হোম কোয়ারেন্টিন’ সিল দিয়ে বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব বলেন, প্রতিদিনই সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশন খোলা রয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ৬৫ জন ফিরেছেন।