Thank you for trying Sticky AMP!!

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অকৃত্রিম ও তুলনাহীন: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অকৃত্রিম। এটির সাথে অন্য কারওর সম্পর্কের তুলনা হয় না।

সচিবালয়ে আজ বুধবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশের বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তথ্যসচিব কামরুন নাহার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী জানান, ‘এটা হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ ছিল এবং তিনি সচিব মর্যাদায় পদোন্নতি পেয়ে দিল্লি যাচ্ছেন। তাঁর এ পদোন্নতিতে আমার আন্তরিক অভিনন্দন।’
তথ্যমন্ত্রী এ সময় ভারতের সদ্যপ্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন ও তাঁর প্রয়াণে আবারও গভীর শোক জানান। মন্ত্রী বলেন, ভারতের পাশাপাশি আজ বাংলাদেশেও প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক চলছে।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশের ঢাকা অবস্থানকালে আমাদের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে। বিশেষ করে বহু বছরের আলাপ আলোচনার পর গত বছর থেকে ভারতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) পুরো ভারতবর্ষে ফ্রি ডিসের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। একইসাথে বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠানমালাও সেখানে সম্প্রচার হচ্ছে। এগুলো বড় কাজ, বহু বছর ধরে যা নিয়ে আলাপ আলোচনা চললেও আগে জট খোলেনি। সমস্ত জট খুলে এগুলো করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একইসাথে আপনারা জানেন, ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি বায়োপিক নির্মিত হচ্ছে। কোভিডের কারণে এর কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে, তবে খুব শিগগিরই কাজ শুরু হবে। আমরা খুব শিগগিরই দু’দেশের যৌথ প্রযোজনায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মও তৈরি করব।’


রীভা গাঙ্গুলী দাশ এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন প্রণব মুখার্জি মারা গেছেন। সে জন্য ভারতে রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। আজ বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয় শোক চলছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। আপনারা জানেন প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের খুবই বড় বন্ধু ছিলেন। আমি আগেও বাংলাদেশে ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি, তখন প্রণব বাবু এসেছিলেন। আমি তার সাথে নোয়াখালীতে গান্ধী আশ্রমে গিয়েছিলাম। ওনার সাথে খুব ভালো একটা স্মৃতি রয়েছে।’

আগামী বছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর এবং দু’দেশের সম্পর্ক অনেক প্রাচীন হলেও ২০২১ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর হবে। দু’দেশের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে আমরা এক সাথে কাজ করতে পারি, বলেন হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী।

বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনারকে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক তিনটি গ্রন্থ ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা হস্তান্তর করেন এবং রীভা গাঙ্গুলীও মন্ত্রীর হাতে স্মৃতিস্মারক তুলে দেন।