ভুল ভোটে দেশ যাবে অন্ধকারে
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্তে ভুল করলে আমরা যে অন্ধকারে ছিলাম, সেখানেই পর্যবসিত হব। আর সঠিক জায়গায় ভোট দিতে পারলে আমাদের ভবিষৎ প্রজন্মের জন্য একটি উজ্জ্বল দেশ আমরা রেখে যেতে পারব।
ফরিদপুর সদর উপজেলায় আজ রোববার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ। জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্প ও রুরাল এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড রোড মেইনটেনেন্স প্রোগ্রাম-২-এর আওতায় দুস্থ, অসহায় ও স্বামী পরিত্যক্তা চুক্তিবদ্ধ মহিলা কর্মীদের মধ্যে অর্থ বিতরণের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন বরে এলজিইডি-ডানিডা। ফরিদপুর শহরতলির বদরপুরে মন্ত্রীর নিজ বাসভবন ‘আফছানা মঞ্জিল’ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভীষ্ট লক্ষ্য বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা, বাঙালিকে উন্নত জাতিতে রূপান্তরিত করা। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখুন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য অর্জিত হলে দেশে দরিদ্র জনগোষ্ঠী থাকবে না। সবাই উপার্জনের সুযোগ থাকবে, সবাই কিছু না কিছু করবে, সবার মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে।
সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রভাংশু সোম মহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, এলজিইডির বৃহত্তর ফরিদপুরের সুপারিনটেনডেন্ট প্রকৌশলী আব্দুস সালাম মন্ডল, কোতোয়ালি আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা প্রমুখ।
ওই অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগীদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন চায়রা বেগম ও কাকলী বেগম।
পরে মন্ত্রী ৫২৬ জন নারীর হাতে ৭৭ লাখ টাকার চেক তুলে দেন। একই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সমবায় অধিদপ্তরের ‘উন্নত জাতের গাভি পালনে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জীবনমান উন্নয়ন’ প্রকল্পের অধীনে ৫০ জন নারীর প্রত্যেককে গাভি ঋণ বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে তুলে দেন।
আরও পড়ুন
-
স্কুল, মাদ্রাসায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
-
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ
-
আগামীকালও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
সামান্য রদবদলে নতুন টেলিযোগাযোগ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় পালা বন্ধ হচ্ছে, শাখা ক্যাম্পাস হবে আলাদা প্রতিষ্ঠান