Thank you for trying Sticky AMP!!

ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা, দুজন গ্রেপ্তার

খাদ্যপণ্য প্রস্তুত ও সরবরাহকারী ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সেজে ব্যবসায়ীদের প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাঁরা হলেন আবদুল্লাহ আল হেলাল (৩৮) ও আজিজুল হক ওরফে সোনা মিয়া ওরফে সিরাজ (৩৫)। ডিবি জানায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিবির উপকমিশনার (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, গ্রেপ্তার করা এই দুজন ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সেজে খাদ্যপণ্য সরবরাহের কথা বলে অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই প্রতারণার প্রধান আবদুল্লাহ, তাঁর সহযোগী আজিজুল।
কৃষ্ণপদ রায় বলেন, আবদুল্লাহ ও আজিজুল প্রথমে একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর দিয়ে খাদ্যপণ্যের জন্য পরিবেশক চেয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতেন। বিজ্ঞাপন দেখে ব্যবসায়ীরা যোগাযোগ করে পণ্যের নমুনা চাইতেন। আগ্রহী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাঁরা দেড় থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে কিছু টাকা দিয়ে বাজার থেকে খাদ্যপণ্য কিনে তা মোড়কজাত করে বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের স্টিকার লাগিয়ে ব্যবসায়ীদের পাঠাতেন। এতে সন্তুষ্ট হয়ে ব্যবসায়ী কয়েক লাখ টাকার পণ্য সরবরাহের আদেশ দিতেন। তবে পণ্য সরবরাহের আগেই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিকাশ বা অন্য কোনো মাধ্যমে টাকা নিয়ে মুঠোফোন নম্বর বন্ধ করে দিতেন। ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় ও ঠিকানা ভুয়া হওয়ায় কেউ তাঁদের হদিস পেতেন না।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, একটি প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে প্রতারণার পর নতুন প্রতিষ্ঠানের নাম ও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করতেন তাঁরা। তাঁদের ব্যবহার করা প্রতিষ্ঠানের নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাকুরা, এসবি, তালুকদার এবং সর্বশেষ শেরাটন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। ডিবি জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আবদুল্লাহর গ্রামের বাড়ি বরগুনার আমতলীতে এবং আজিজুলের বরিশালে। আবদুল্লাহ আগে খাদ্যপণ্য প্রস্তুত ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। পরে ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে দোকান দেন। ২০০৯ সালের দিকে ওই দোকান পুড়ে যায়। ২০১১ সাল থেকে তিনি প্রতারণা শুরু করেন। আজিজুল একসময় দুবাইয়ে কাজ করতেন। যাত্রাবাড়ীতে পাশাপাশি থাকার সুবাদে আবদুল্লাহর সঙ্গে পরিচয় এবং তাঁর হাত ধরেই প্রতারণায় এসেছেন।