Thank you for trying Sticky AMP!!

মঞ্চে মাশরাফির নায়কেরা

উৎসবের মূল মঞ্চে তরুণ নায়কেরা। ছবি: প্রথম আলো

প্রথম আলোর ‘পাঠক উৎসবের’ মঞ্চে এসেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফির চার নায়ক। তাঁরা বলেন, তাঁদের নিজেদের কথা।

আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার পরে রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয় প্রথম আলোর ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সবচেয়ে বড় আয়োজন ‘পাঠক উত্সব: এসো আঠারোয়’।

একপর্যায়ে প্রদর্শন করা হয় তথ্যচিত্র ‘অধিনায়ক ও নায়কেরা’। এরপর প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক ও কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের আমন্ত্রণে মঞ্চে আসেন মাশরাফির চার নায়ক সদরঘাটের দুই পা হারানো অদম্য তরুণ আবদুল্লাহ, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ঝালকাঠির শারমিন আক্তার, হাসপাতালে অজ্ঞাতনামা রোগীদের পাশে দাঁড়ানো ফেনীর সাইফুল ও সাউথ এশিয়ান গেমসে স্বর্ণজয়ী মাবিয়া আক্তার।

ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্র অধিনায়ক মাশরাফির কথা বলেন। উৎপল শুভ্র বলেন, মাশরাফি মনে করেন ক্রিকেটাররা হয়তো একটু বেশি প্রচার পায়। তবে সমাজের সব ক্ষেত্রেই আমাদের নায়ক আছে। মাশরাফির কাছে নিজের কাজ যিনি ঠিকভাবে করেন তিনিই নায়ক।

দৃঢ়প্রত্যয়ী সদরঘাটের আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ সবকিছুতে জয়লাভ করবে।

বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ঝালকাঠির শারমিন আক্তার বলেন, বাংলাদেশের সব কিশোরী প্রতিবাদী হয়ে উঠুক। তারা যেন নিজেদের অসহায় না ভাবে। আমরা বাংলাদেশকে জয় করবই। আমাদের শপথ করতে হবে আর একটিও বাল্যবিবাহ হবে না।

চট্টগ্রামে কর্মরত সাইফুল বলেন, ২০০৭ সালে চিকিৎসার অভাবে তাঁর বাবা মারা যাওয়ার পরে হাসপাতালে অজ্ঞাতনামা রোগীদের সেবা শুরু করেন। অনেক ভালো পরিবারের অবস্থাসম্পন্ন ব্যক্তিরাও অজ্ঞাত থাকার কারণে হাসপাতালে সুচিকিৎসার অভাবে মারা যান। এটি আমাদের জাতীয় সমস্যা। এ জন্য দেশের সব হাসপাতালে অজ্ঞাত রোগীদের সেবায় একটি সেল গঠনের আহ্বান জানান তিনি। এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

এসএ গেমসে বাংলাদেশকে সোনা এনে দেওয়া মাবিয়া আক্তার বলেন, ‘দেশকে আমি সোনা এনে দিয়েছি। এটা তেমন কিছুই না। কিন্তু দেশ আমাকে যা দিয়েছে তা অনেক সম্মানের।’