Thank you for trying Sticky AMP!!

মঠবাড়িয়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় জেসমিন বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী আবুল কালামকে (৪৪) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবুল কালাম উপজেলার বড়শৌলা গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়শৌলা গ্রামের আবুল কালামের সঙ্গে একই উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের শহিদুল হক হাওলাদারের মেয়ে জেসমিন বেগমের ২২ বছর আগে বিয়ে হয়। ওই দম্পতির তিন সন্তান আছে। আবুল কালাম বিয়ের পর স্ত্রী জেসমিন বেগমের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। জেসমিন বেগম বাবার বাড়ি থেকে বিভিন্ন সময়ে এক লাখ টাকা এনে স্বামী আবুল কালামকে দেন। এরপরও আবুল কালাম যৌতুক দাবি করে স্ত্রীকে মারপিট করতেন।

২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে যৌতুকের দাবিতে আবুল কালাম জেসমিনকে মারধর করেন। জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসককে ডেকে এনে বাড়িতে চিকিৎসা করানো হয়। এতে জেসমিনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে পরদিন তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নিহত জেসমিনের ভাই সাইফুল হক বাদী হয়ে আবুল কালামকে আসামি করে স্থানীয় থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে ৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক আসামি আবুল কালামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলার সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আসামি আবুল কালামের অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।

সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (বিশেষ পিপি) আব্দুর রাজ্জাক খান। তিনি বলেন, আসামি আবুল কালাম পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।