Thank you for trying Sticky AMP!!

মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে 'ছোট ভাইয়েরা'

আনোয়ার, শওকত, নাকি মাকসু? কে পাচ্ছেন মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থন—এটিই এখন কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরবাসীর প্রধান আলোচ্য বিষয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির প্রার্থী বাছাই হওয়ায় ভোটারদের নজর এখন আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের দিকে।
জানা গেছে, মেয়র পদে আওয়ামী লীগ থেকে যে কজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছেন তাঁদের প্রত্যেকের ‘বড় ভাই’ দলীয় প্রভাবশালী। এর মধ্যে আনোয়ার হোসেন স্থানীয় সাংসদ আফজাল হোসেনের ছোট ভাই। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছরওয়ার আলমের ছোট ভাই হলেন শওকত আকবর। আর মাকসু মিয়ার আছে পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মস্তফা কামালের ছোট ভাইয়ের পরিচয়। তবে মস্তফা কামাল নিজেও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার তালিকায় আছেন এবং দলীয় সমর্থন আদায়ে চেষ্টা করে চলেছেন।
কোনো নেতার ছোট ভাই হতে না পারার দুঃখ থাকলেও হতাশ নন দল থেকে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী মাকসুদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এই কথা সত্য আমি কোনো প্রভাবশালী নেতার ছোট ভাই হতে পারিনি। হলফ করে বলতে পারি মনোনয়ন দৌড়ে কুলিয়ে উঠতে না পারলেও ভোটের রাজনীতিতে আমার সঙ্গে কেউ ঘাটে পানি পাবে না।’
তবে নেতাদের ছোট ভাইয়েরা ওই হিসাব মানতে নারাজ। দলীয় মনোনয়ন এবং ভোট পাওয়ার বিষয়ে নিজেদের পরিচয়কেই এগিয়ে রাখতে চান তাঁরা।
ছোট ভাই প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে সাংসদ আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমার ছোট ভাই অত্যন্ত জনপ্রিয়। সব নেতা তাঁর সঙ্গে। নেতারা তাঁকে মঠে নামিয়েছেন।’ তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমার কোনো প্রার্থী নেই। দল যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই হবেন আমার প্রার্থী।’ মেয়র পদে আওয়ামী লীগের পরিচয় নিয়ে মাঠে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম।
বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী বর্তমান মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি এহসান কুফিয়া এবং দলটির কর্মী ফেরদৌস মিয়া। জ্যেষ্ঠ নেতারা জানিয়েছেন, এহসান কুফিয়াকে সমর্থন জানানো হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৪৬ বছর আগের পৌরসভার প্রধান সড়কগুলো ভাঙা, খানাখন্দে ভরা। অধিকাংশ সড়কবাতি জ্বলে না। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ অপ্রতুল। নর্দমাব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে।