Thank you for trying Sticky AMP!!

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ঋত্বিকের বাড়িতে গ্যারেজ নির্মাণ বন্ধ

ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক ভিটা দখলমুক্ত করে সরকারি হেরিটেজ ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন করে কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। গতকাল রাজশাহী নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে। ছবি: প্রথম আলো

সমালোচনার মুখে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রাজশাহীতে খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক কুমার ঘটকের পৈতৃক ভিটায় সাইকেল গ্যারেজ নির্মাণের কাজ বন্ধ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি এফ এম এ জাহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এফ এম এ জাহিদ বলেন, সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় থেকে রাজশাহী জেলা প্রশাসনকে ফোন দিয়ে বলা হয়েছে ঋত্বিক ঘটকের বাড়িটি সংরক্ষণের জন্য। পরে জেলা প্রশাসন থেকে কলেজ অধ্যক্ষকে ফোন করে গ্যারেজ নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে।

ঋত্বিক ঘটকের ওই বাড়ির এক অংশে গড়ে উঠেছে রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বাড়িটির অন্য অংশের কয়েকটি ঘর এখনো অক্ষত রয়েছে। এই ঘরগুলোও কলেজ কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করছে। সম্প্রতি কলেজ কর্তৃপক্ষ ঋত্বিক ঘটকের বাড়ির একটি ঘর ভেঙে গ্যারেজ নির্মাণের কাজ শুরু করে।

গত সোমবার বেলা ১১টায় রাজশাহী সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নেতারা বাড়িটি পরিদর্শন করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে তাঁরা এটি রক্ষায় ও হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা করার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর চলচ্চিত্র অঙ্গনের সংগঠনগুলো মানববন্ধন করে ঋত্বিক ঘটকের বাড়িটিকে হেরিটেজ হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানান। এদিন ঢাকা থেকে ১২ জন চলচ্চিত্রনির্মাতাও এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির এফ এম এ জাহিদ জানান, গতকাল তিনি জেলা প্রশাসন থেকে একটি চিঠি পান। সেই চিঠিতে একজন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শরিফুল হক (সার্বিক) বলেন, তাঁরা স্মারকলিপি পাওয়ার দিনই কলেজ কর্তৃপক্ষকে ঋত্বিক ঘটকের বাড়িতে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে নিষেধ করেছেন। এ ঘটনায় একজন সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁরা এখনো কোনো পত্র পাননি। তবে তাঁদের জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এ বিষয়ে মৌখিক কথা হয়ে থাকতে পারে।

জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান বলেন, তাঁরা জেলা প্রশাসন থেকে ফোন পেয়ে কাজ বন্ধ রেখেছেন।