Thank you for trying Sticky AMP!!

মশা নিধনে ওষুধ না ছিটানোর অভিযোগে পল্লবী থানায় জিডি

ঢাকার মিরপুরে পল্লবীর বাসিন্দা ইউসুফ আহমেদের এক বন্ধু ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালের গিয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের অবস্থা দেখে তিনি নিজে শঙ্কিত। তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মশার ওষুধ ছিটাননি। আর এই অভিযোগে তিনি পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইউসুফ আহমেদের বাসা মিরপুর বি-ব্লকের কালশী রোডে। বুধবার তিনি প্রথম আলোকে জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টায় তিনি পল্লবী থানায় গিয়ে জিডি করেছেন।

জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কাউন্সিলরকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে এলাকাবাসী ডেঙ্গু-আতঙ্কে আছে। মশার ওষুধ ছিটানোসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। কাউন্সিলর ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং আরও নেবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।

ইউসুফ আহমেদ বলেন, ‘কাউন্সিলরের অফিসে কয়েকবার গিয়েছি আমার এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানোর জন্য। কিন্তু উনাকে একবারও পাইনি। আমার এক বন্ধু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। আমার বাসাতেও প্রচুর মশা। এখন গরম, জানালা বন্ধ করেও তো রাখা সম্ভব না। আমি নিয়মিত ট্যাক্স পে করি। এলাকার ভোটার। আমরা নিরীহ মানুষ। আমাদের ওপর কেন এ অত্যাচার?’

মশার ওষুধ প্রসঙ্গে মিরপুরের এই বাসিন্দা বলেন, মশার ওষুধে কাজ না হলেও অন্তত এলাকার কাউন্সিলর বা সিটি করপোরেশন যে আন্তরিক, তা নাগরিকেরা বুঝবে কীভাবে? তাদের তো কোনো উদ্যোগই নেই। ডেঙ্গু ইস্যুর পর এলাকায় কোনো রকমের কোনো কার্যক্রম দেখেননি বলেও জানান ইউসুফ আহমেদ।

জিডির পরও তাঁর বাসার আশপাশে ওষুধ ছিটানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন ইউসুফ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বাঁচতে চাই। বাংলাদেশের মানুষ এখন অসহায়। আশা করি সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগকারীর ব্লকে আজ (বুধবার) ওষুধ ছিটিয়েছেন। তিনি বলেন, তাঁর ওয়ার্ড অনেক বড়। এক এক করে সব এলাকাতেই ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।