মসলার দাম বাড়িয়ে জরিমানা
২ হাজার ৪১০ টাকার এলাচি বিক্রি করা হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। ২৪০ টাকার দারুচিনি ৩৭০- ৪০০ টাকায় কিংবা ৪২০ টাকার গোলমরিচ ৬২০ টাকায়। আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে এভাবে প্রতিটি মসলাতেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।
রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের খাতুনগঞ্জে অভিযানে গিয়ে এই অনিয়মের প্রমাণ পান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বেশি দামে মসলা বিক্রি, মূল্যতালিকায় হেরফের ও ঘষামাজা করার কারণে ৪ ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনার সময় তিনি বেশ কয়েকটি মসলার আড়তে লেনদেন–সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করেন। সেসব যাচাই করে দেখেন বিক্রয়মূল্য ও ক্রয়মূল্যের মধ্যে আকাশ–পাতাল তফাত।
এলাচি, দারুচিনি, গোলমরিচ ছাড়াও লবঙ্গ, জিরাসহ আনুষঙ্গিক মসলাই অনেক বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছিল। অভিযান চলার সময় অনেক ব্যবসায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সাঁটানো মূল্যতালিকায় রাখা মূল্য কাটাছেঁড়া করে কমিয়ে রাখেন। এসব অভিযোগে মেসার্স নারায়ণ ভান্ডারকে ২০ হাজার, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০ হাজার, মেসার্স অনিল দেব স্টোরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, পবিত্র কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মসলাজাতীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। কেউ যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারেন, সে জন্য এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন
-
নারী আম্পায়ারের ম্যাচ আসলেই কি খেলতে চাননি মুশফিক–মাহমুদউল্লাহরা
-
রাফায় এক পরিবারের ৯ জন নিহত, শুধু বেঁচে রইল মেয়েশিশুটি
-
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আবারও বিএসইসি চেয়ারম্যান, যেমন ছিল তাঁর আগের ৪ বছর
-
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ
-
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যে বদল এসেছে