Thank you for trying Sticky AMP!!

মহেশপুর ও আদিতমারী সীমান্তে ২ বাংলাদেশিকে নিয়ে গেছে বিএসএফ

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর সীমান্ত এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্ত থেকে গতকাল বুধবার ভোরে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এঁরা হলেন ফয়সাল আহমেদ (২০) ও বিজয় কুমার বর্মণ।
চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানান, মহেশপুর উপজেলার লড়াইঘাট গ্রামের খোকন মণ্ডলের ছেলে গরু ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ গতকাল ভোর ছয়টার দিকে কুসুমপুর সীমান্তের ৬১ নম্বর মেইন পিলারের পাশ দিয়ে গরু আনতে ভারতে ঢোকেন। এ সময় বিএসএফের নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা ফয়সালকে আটক করেন। তাঁকে ফেরত চেয়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুসুমপুর বিওপির ৬১/৭ নম্বর মেইন পিলারের কাছে পতাকা বৈঠক হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুসুমপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জমসেদ আলী এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ নোনাগঞ্জ ক্যাম্পের এসি জব্বার সিং। বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফয়সালকে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে আটক করা হয়েছে। তাই তাঁকে ভারতের কৃষ্ণগড় থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আইনের মাধ্যমে তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে হবে।
বিজিবির লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন সূত্র জানায়, আদিতমারী উপজেলার মহিষতুলী গ্রামের রতনেশ্বর চন্দ্রের ছেলে গরু ব্যবসায়ী বিজয় কুমার বর্মণ দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৪ নম্বর মেইন পিলারের ৪ নম্বর সাবপিলারের কাছ দিয়ে ভারত থেকে গরু আনতে সীমান্তে যান। এ সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার ২১ বিএসএফ সিঙ্গিমারী ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাঁকে ধরে ভারতে নিয়ে যান। খবর পেয়ে দুর্গাপুর সীমান্তের বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ বিএসএফ ক্যাম্পে যোগাযোগ করে। দীর্ঘক্ষণ পরও বিজয় কুমারকে ফেরত না দেওয়ায় ঘটনাটি লালমনিরহাটের ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ককে জানানো হয়।
১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহবুবুর রহমান বলেন, বিজয় কুমারকে ফেরত দিতে বিএসএফকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।